মুয়াজ্জিনসহ ১১ জনের মৃত্যু, দগ্ধ আরও ২৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

সংগৃহীত ছবি

দুর্ঘটনা

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ

মুয়াজ্জিনসহ ১১ জনের মৃত্যু, দগ্ধ আরও ২৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় মুয়াজ্জিনসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো ২৬ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। বেশিরভাগের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৯০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে।

আজ শনিবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ তথ‌্য জানান।

বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতরা হলেন- মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), যুবায়ের (৭), রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮) সাব্বির (২১) ও কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২)।

এ ঘটনায় শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম মৃত্যু হয় জুয়েল নামের এক শিশুর।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

এদিকে মসজিদের এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বিস্ফোরণের কথা বলা হলেও জানা গেছে এসি থেকে নয়, গ্যাস থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এমনটি জানিয়েছেন সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন।

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস জানায়, মসজিদের তল দিয়ে গ্যাসের একটি পাইপ রয়েছে। ওই পাইপের লিকেজ দিয়ে মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমে যায়। এর মধ্যে এসি চলার কারণে মসজিদের ভেতরে সবগুলো জানালা ও দরজা টাইট করে বন্ধ ছিল। ফলে নির্গত গ্যাস বের হতে না পারায় এ বিস্ফোরণ ঘটেছে। 

সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন বলেন, বিস্ফোরণের আগে কেউ হয়তো বাতি বা বিদ্যুতের কিছু জালানোর সময়ে স্পার্ক করে। সেই স্পার্ক থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে সেটার কারণে এসি ও বাইরের ট্রান্সফরমারেও আগুন ধরতে পারে। 

এদিকে হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন গণমাধ্যমকে জানান, আহতদের চিকিৎসায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা অন্যান্য চিকিৎসকরাও যোগ দিয়েছেন। যাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত নয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads