প্রায় এক বছর পর বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন সৌদি প্রিন্স খালেদ বিন তালাল। গত শুক্রবার মুক্তি পান তিনি। ২০১৭ সালের নভেম্বরে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ব্যাপক ধরপাকড় চালান। এ ঘটনার নিন্দা করে আটক হয়েছিলেন তিনি। খবর বিবিসি ও সিএনএন।
খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যেই প্রিন্স খালেদকে মুক্তি দিল সৌদি কর্তৃপক্ষ। মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে বলা হয়েছে, মুক্তি পাওয়া প্রিন্সের বাবা তালাল বিন আবদুল আজিজ। তিনি সম্প্রতি লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে দেশে ফেরেন। ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই নিজ দেশে ফিরেছেন। খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাপের মুখে থাকা যুবরাজের ক্ষমতায় লাগাম টানতেই সৌদি ফিরেছেন তিনি।
এ ছাড়া খালেদ সৌদি ধনকুবের আল ওয়ালিদ বিন তালালের ভাই। ইতোপূর্বে সৌদি কর্তৃপক্ষ দুই ভাইয়ের সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করলেও মুক্তির পর তাদের সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যম আল-কুদস আল-আরাবি এ খবর দিয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে কারান্তরীণ ছিলেন খালেদ। যুবরাজের নির্দেশে ওই ধরপাকড়ে গ্রেফতার হওয়া অনেকেই পরে মোটা অঙ্কের অর্থের ছাড়া পেলেও তিনি এভাবে মুক্তির বিষয়টি নাকচ করে দেন।
তার ভাই আল ওয়ালিদও একই প্রক্রিয়ায় মুক্তি পেয়েছিলেন। সে সময় দুর্নীতির অভিযোগে আটকের ঘটনাগুলো ঘটে। তবে খালেদকে আটক করা হয় ওই ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য। বিচারের আওতায় আনার পরিবর্তে রাজপরিবারের সদস্য ও ব্যবসায়ীদের ওপর যুবরাজের ধরপাকড়ের নীতির সমালোচনা করেছিলেন।