শীতের প্রকোপ কম থাকায় বরেন্দ্রর বাগানগুলোয় বেশ আগেভাগেই এসেছে আমের মুকুল। তাই আগাম ফলনের সঙ্গে ভালো দাম পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বাগান মালিকরা। গাছে মুকুল দেখে বাগানের দরদাম হাঁকতে শুরু করেছেন বেপারিরা।
কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবার গেল বছরের চেয়ে আমের উৎপাদন বেশি হবে। মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলের আম বাগানগুলো। থোকা থোকা হলুদ রঙের মুকুলের ভারে ঝুলে পড়েছে ডাল-পালা। বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন এবার। আর বাগান মালিকরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাক নাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নওগাঁর বাগান মালিক শামসুল আলম বলেন, ‘অন্য বছরের চেয়ে এবার প্রচুর আমের মুকুল হয়েছে।’ আরেকজন বাগান মালিক বলেন, ‘আমের চাহিদা থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে বেপারিরা আম নিতে আসেন।’
ফল গবেষণাগারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকা সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুরে ল্যাংড়া, ফজলী, গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাতি, আম্রপালি ও মোহনভোগ জাতের সুস্বাদু আমের উৎপাদন বেশি হয়। আমের ভালো ফলন নিশ্চিতে বাগান মালিকদের সহযোগিতা করছেন মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা। কৃষি কর্মকর্তা উপ-সহকারী সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি পুরনো জাতগুলো না করে নতুন জাতগুলো করব। কৃষিবিভাগ সব রকমের সহযোগিতা দিচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা উপ-সহকারী শামীম মাহমুদ বলেন, ‘মুকুল যে পরিমাণে আসছে সামনে দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়তো ফুলই চলে আসবে। আশা করছি এবার আমের ফলন গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি হবে।