মিরসরাইয়ে ফেনী নদীর গর্ভে রাস্তা জমি মৎস্য প্রকল্প

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

মিরসরাইয়ে ফেনী নদীর গর্ভে রাস্তা জমি মৎস্য প্রকল্প

  • মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ অগাস্ট, ২০২০

ফেনী নদীর গর্ভে একে একে পতিত হয়েছে রাস্তা, জমি, মাছের খামার। এখনো ভাঙছে মাছের ঘের, অবশিষ্ট রাস্তা ও জমি। ভাঙনের খুব কাছে চলে এসেছে অর্থনৈতিক জোন সংযোগ বেড়িবাঁধ সড়ক ও বৈদ্যুতিক লাইন।

চট্টগ্রাম জেলার সর্ব উত্তর পশ্চিম জনপদ দৃষ্টিনন্দন মুহুরী প্রকল্প এলাকার সেচ প্রকল্প নিকটবর্তী ফেনী নদীর ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে নদী গর্ভে পতিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শত শত মৎস্যজীবীর মাছের খামার চলে গেছে নদী গর্ভে। পাউবো নির্মিত কয়েকটি রাস্তা ও কৃষি জমি চলে গেছে নদী গর্ভে। বর্তমানে অবশিষ্ট মাছের খামারসহ মুহুরী প্রকল্প টু অর্থনৈতিক জোন বিকল্প সড়ক এবং বৈদ্যুতিক লাইনসহ তলিয়ে যাবে মাত্র শতফুট ভাঙ্গলেই। যেখানে বছরে কয়েক শত ফুট নদী গর্ভে যাচ্ছে, সেখানে শত ফুট মাত্র এবারের বর্ষায় ও রক্ষা হবে কি না সন্দেহ করছে অনেকে।

নদীগর্ভে সম্পদ হারানো স্থানীয় মৎস্য চাষী নিজাম উদ্দিন জানান, গত এক বছরে আমার ২টি মাছের ঘর, মো. হানিফের ৩টি, সোহেল আহমদের ১টি, ইমামুল কবিরের ৬টি সহ অনেক মানুষের মাছের খামার নদীগর্ভে। আমাদের এখনো দু-একটা অবশিষ্ট আছে বলে বেঁচে আছি। কিন্তু অনেকের নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে এই নদীতে সব হারিয়ে। এখন কাছে এসেছে বিকল্প বেড়িবাঁধটি এটিও রক্ষা না হলে বৈদ্যুতিক লাইনসহ পরবর্তী অনেক অংশও চলে যাবে নদী গর্ভে।

সোনাগাজী এলকার মৎস্য চাষী মো. লিটন জানান, এভাবে ক্ষতিগ্রস্তরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ধর্ণা দিয়েও কিছুই হচ্ছে না, তাই আমরা হতাশা আর উদ্বিগ্নতায় দিনাতিপাত করছি।

এই বিষয়ে মিরসরাইয়ের উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জসিম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে সরেজমিনে দেখেছি। আসলেই নদীর ভাংগন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নদী শাসন থেকে প্রধানত নদীর মূল স্রোত ডাইভারশান করে কেটে দিলেই রক্ষা সম্ভব সবকিছু । তিনি পাউবো প্রকৌশলীগণকে এই বিষয়ে কার্যকর ভূমিকার জন্য বারবার অনুরোধ করেছেন বলে জানান। এই বিষয়ে পাউবোর চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দীক বলেন, ভাঙ্গনস্থল পরিদর্শনে শীঘ্রই একটি টিম পাঠানো হবে এবং শীঘ্রই কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads