মহানগর

মিরপুরে ফুটপাতের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে দু‘গ্রুপের সংঘর্ষ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৫ অগাস্ট, ২০২১

রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকায় ফুটপাত ও সড়কে দোকান বসানো ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে একই দলের দুগ্রুপের সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় অনেকেই আহত হয়ে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসাও নিয়েছেন। বাজারে পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

জানা গেছে, বুধবার সকালে কাউন্সিলর জামাল মোস্তফার শ্যালক ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোল্লা ও নুমেলের লোকজন ফুটপাত ও সড়কের দোকানের নিয়মিত চাঁদা তুলতে গেলে ইসলাম দেওয়ানের লোকজনের সাথে এ সংঘর্ষ বাধে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর জামাল মোস্তফার শ্যালক সৈয়দ মোল্লা ও নুমেল দীর্ঘ দিন ধরে ফুটপাত ও সড়কের দোকানের চাঁদা উঠানোসহ বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। একই ওয়ার্ডের ইসলাম দেওয়ান গ্রুপের লোকজন হানিফ জামাল ও কাসেদ এর সাথে চাঁদার টাকা ভাগাভাগি কমবেশি নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ লাগে। এতে দুগ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় আশেপাশের সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে জামাল মোস্তফার নির্দেশে দু’গ্রুপের মাঝে একটি শান্তির বৈঠকের ব্যবস্থা করে মিমাংসা করে দেন। নিয়মিত চাঁদার একটি অংশ এখন থেকে ইসলাম দেওয়ান গ্রুপের লোকজনও পাবে।

সরজমিনে দেখা গেছে, রোডে দুপাশের ফুটপাত ও সড়ক দখল করে বিভিন্ন ধরনের প্রাই ১ হাজার দোকানপাট বসিয়ে দৈনিক লাখ টাকা লাইনম্যান দ্বারা চাঁদা তুলছে। দোকান ভেদে চাঁদা তুলা হয় যেমন, সকালে তরিতরকারি দোকান থেকে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। বিকালে চটপটি ফুসকা, কাবাব, মাংসের চাপ, হালিম সহ ইত্যাদি দোকান থেকে চাদা উঠানো হয় দেড়শ থেকে ২শ ৫০ টাকা। এসকল দোকানে ব্যবহার হয় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ও পানির অবৈধ সংযোগ। লাইট প্রতি ত্রিশ টাকা ও সিটি করপোরেশনের নামে দোকান প্রতি ২০ টাকা, পুলিশের নামে ২০ টাকা, মসজিদের নামে ২০টা আলাদা ভাবে নেওয়া হয়।

দেখা গেছে, এ বাজারটি মিরপুর ১৩ নম্বর মন্দির হয়ে শেরেবাংলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে জামাল মোস্তফার অফিস হয়ে জয়নগর গর্ভমেন্ট অফিসার্স এ্যাপার্টমেন্টের ও সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ডাস্টবিন পর্যন্ত। এই লম্বাচওড়া সড়কের দু’পাশেই রয়েছে এ বাজারটি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে টহল পুলিশ।

ডিউটিতে থাকা টহল পুলিশ জানায়, বুধবার বাজারের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে এই সড়কে আর বাজার বসতে দেওয়া হবেনা। তাই আমরা এখানে ডিউটি করছি।

এ বিষয়ে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, আমরা প্রতিনিয়তো ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযান করি। তবে দু-একদিন অভিযান বন্ধ রাখলেই তারা আবার বসে পড়ে। এখন থেকে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads