আমার প্রথম শিক্ষক আমার মা। তাঁর হাতেই আমার শিক্ষার হাতেখড়ি। স্বশিক্ষিত আমার মা সেই ছোটবেলায় ‘বর্ণবোধ’ নামে একটি ক্ষুদ্রকায় চটি বই হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন। বাংলা অক্ষরের সঙ্গে সেখান থেকেই আমার পরিচয়। তারপর সীতানাথ বসাক প্রণীত ‘আদর্শলিপি’। সেটি ছিল একটি অসাধারণ বই। অক্ষর পরিচিতির সঙ্গে সুপথে চলার অর্থাৎ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার হিতোপদেশ ছিল ওই বইটিতে। প্রথমেই যে বাক্যটি ছিল— ‘অ’-তে অসৎ সঙ্গ ত্যাগ কর’। তারপর আ’-তে ‘আলস্য দোষের আকর’। এরকম প্রতিটি অক্ষর পরিচিতির সঙ্গে উপদেশবাণী লেখা ছিল। আমরা সেসব নীতিবাক্য মনে রাখার চেষ্টা করেছি সারাজীবন। আর এক্ষেত্রে মায়ের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি আদর্শলিপির কথাগুলো শুধু মুখস্থ করা নয়, বাস্তব জীবনে ধারণ করার পরামর্শ দিতেন।
বলা হয়ে থাকে, মানুষের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তার পরিবার। সেখান থেকেই সে জীবনচলার পথের প্রথম পাঠ পেয়ে থাকে। শুধু প্রথম পাঠ নয়, একজন মানুষের মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে পারিবারিক পরিবেশ, পিতা-মাতার জীবনাচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারে মায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিতা জীবিকা নির্বাহের তাগিদে দিনমান ঘরের বাইরে থাকেন রুটিরুজির সন্ধানে। সংসারকে আগলে রাখেন মা। তিনি যদি সন্তারদের সৎপথে চালিত হওয়ার পরামর্শ দেন, ছেলেবেলায় কোনো ধরনের অন্যায় কাজ করা থেকে বিরত থাকার জন্য কঠোর শাসন করেন, তাহলে সন্তান সহজে ভুল পথে যেতে পারে না। সাধারণত মায়েরা চান না তার সন্তান বিপথে যাক। তারা সবসময় চেষ্টা করেন সন্তানদের সুপথে পরিচালিত করতে। তারপরও কিন্তু অনেক মায়ের সন্তান বিপথগামী হয়, উচ্ছন্নে যায়। আজ যেসব অপরাধী-দুষ্কৃতকারীর নাম আমরা সংবাদপত্রে পাই, তাদের মা-বাবা তাদেরকে মানুষ করার চেষ্টা করেননি এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। তবে নির্মম বাস্তবতা হলো, অনেক মা-বাবার সে চেষ্টা বিফলে যায়। সন্তান বিপথে গেলে, সমাজে দুষ্কৃতকারী হিসেবে পরিচিত হলে বাবা-মার চেয়ে আর কেউ বেশি কষ্ট পান বলে মনে হয় না।
সন্তান যদি কোনো অপরাধমূলক কাজে ব্যাপৃত হয়, সাধারণত বাবা-মা বা অভিভাবকরা তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। কেননা তারা কেউই চান না, তাদের সন্তান সমাজে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হোক। কিন্তু যখন শোনা যায়, মা এবং তার ছেলে উভয়েই অপরাধকর্মে লিপ্ত এবং তারা এ কাজে একে অপরের সহযোগী, তখন বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হতে হয় বৈ কি! এমনি একটি খবর বেরিয়েছে গত ২৪ সেপ্টেম্বরের বাংলাদেশ প্রতিদিনে। খবরে বলা হয়েছে, মা হোসনে আক্তার জলি ও তার ছেলে ইফাজ সুলতান মিলে গড়ে তুলেছে ইয়াবার সাম্রাজ্য। মা জলি আক্তার ওই সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী, আর ছেলে ইফাজ সম্রাট। ইয়াবা ব্যবসা করে তারা কামিয়েছে বিস্তর টাকা, বানিয়েছে বাড়ি, মালিক হয়েছে একাধিক দামি গাড়ির। গত ৮ আগস্ট ছেলে ইফাজ সুলতানকে রাজধানীর কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এ সময় তার কাছ থেকে তিন হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ইয়াবা বহনের জন্য ব্যবহূত গাড়ি এবং ইয়াবা বিক্রির ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এর ২৩ দিন পরে গত ১ সেপ্টেম্বর মা হোসনে আক্তার জলিকে দুই সহযোগীসহ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করে ডিএনসি। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। ডিএনসি কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ইফাজ সুলতান ও তার মা হোসনে আক্তার জলি দীর্ঘদিন যাবত চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট এনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সাপ্লাই দিত। এ কাজে তারা চারটি গাড়ি ব্যবহার করত। আর সেসব গাড়িতে ব্যবহার করত একটি বেসরকারি টেলিভিশনের স্টিকার। মা-ছেলে ইয়াবা ব্যবসা করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছে বলেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে অবহিত করেছেন। প্রতিদিন গণমাধ্যমে অনেক অপরাধের খবর প্রকাশিত হয়। তবে সেসব ঘটনা থেকে এ ঘটনাটি ব্যতিক্রম। অন্যান্য ঘটনায় অনেকের জড়িত থাকার খবর পাওয়া গেলেও ইয়াবা কারবারের মতো ঘৃণ্য কাজে মা-ছেলের জড়িত থাকার খবর সবাইকে চমকে দিয়েছে। অবৈধ পথে দ্রুত বিত্তবান হওয়ার উদগ্র বাসনা মানুষকে কতটা নিচে নামাতে পারে, মা-ছেলের মাদক কারবার তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। নিবন্ধের শুরুতেই মানুষের সৎ হিসেবে গড়ে ওঠার পেছনে বাবা-মা ও পরিবারের ভূমিকার কথা বলেছি। আলোচ্য ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে, মা জলি আক্তার আর দশজন মায়ের চেয়ে আলাদা। সে তার সন্তানকে সুপথে চলার পরামর্শ দেয়নি, বরং নিজেই সন্তানকে নিয়ে কুপথে যাত্রা করেছিল। অর্থ-বিত্তের মোহে অন্ধ হয়েই যে সে সন্তানসহ এ ধরনের ন্যক্কারজনক কাজে লিপ্ত হয়েছিল তাতে সন্দেহ নেই।
আমাদের সমাজে যেসব যুবক বিপথগামী হিসেবে চিহ্নিত, তাদের এ বিপথে যাওয়ার পেছনে অভিভাবকদের ঔদাসীন্য, কখনো কখনো প্রশ্রয় অনেকাংশে দায়ী। হ্যাঁ, বলতে পারেন, বাবা-মার চেষ্টা সত্ত্বেও কেউ কেউ বিপথগামী হয়। এক্ষেত্রেও বাবা-মার ব্যর্থতাকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। তারা শিশুকালে তাদের সন্তানকে আদর্শলিপির উপদেশবাণী— ‘অসৎ সঙ্গ ত্যাগ কর’ আত্মস্থ করাতে পারেননি। নীতি-নৈতিকতা সম্পর্কে শিক্ষা দিতে পারেননি। অনেকদিন আগের একটি কথা মনে পড়ছে। প্রায় ৩৫/৩৬ বছর আগের কথা। আমার পরিচিত এক ভদ্রলোক বেশ গর্ব করে বলছিলেন, সকালে তার সঙ্গে মহল্লার এক লোকের বচসা হয়েছে। খবর পেয়ে তার পূত্রধন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এসে সেই লোককে আচ্ছাসে ধোলাই দিয়েছে। তাকে বললাম, কাজটি কি ভালো হয়েছে? আজ আপনি ছেলের একটি অপরাধকে প্রশ্রয় দিলেন। দুদিন বাদে সে যদি কাউকে খুন করে তখন কী করবেন? ভদ্রলোক জবাব দেননি। পরে সেই ছেলেকে তার চাচা বিদেশে পাঠিয়ে চূড়ান্ত সর্বনাশের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। আমাদের সমাজে কিছু অপরিণামদর্শী অভিভাবক সন্তানদের এ ধরনের ‘বীরত্বে’ গর্ববোধ করে থাকেন। ছেলেকে সবাই ভয় পায়— এটা বলতে তাদের ছাতি ইঞ্চি কয়েক স্ফীত হয়ে ওঠে! কিন্তু তারা ‘কচুগাছ কাটতে কাটতে ডাকাত’ হওয়ার প্রবাদটি ভুলে যান। নিজের অজান্তেই তারা সন্তানের বখে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখেন। আজ সারা দেশে কিশোর গ্যাংয়ের যে উৎপাত, এর পেছনে অভিভাবকদের ঔদাসীন্য কিংবা প্রশ্রয়ের বিষয়টি কি এড়িয়ে যাওয়া যাবে? অনেক অভিভাবক আছেন যারা সন্তান কী করে, কোথায় যায়, কাদের সঙ্গে মেলামেশা করে কোনো খোঁজখবর রাখেন না। একটি ঘটনার কথা বলি। ভদ্রলোক বিত্তশালী। তার বন্ধু বাসায় বেড়াতে এসে বলল, ভাই আপনার ছেলেটিকে অনেকদিন দেখি না। ডাকুন না ওকে। ভদ্রলোক কাজের লোককে হুকুম দিলেন ছেলেকে ডেকে আনতে। কিছুক্ষণ পরে সে এসে বলল, স্যার ভাইয়া তো তিনদিন আগে লন্ডন গেছে। ভদ্রলোক লজ্জায় অধোবদন। নিজের ছেলের সঙ্গে তার তিনদিন কোনো যোগাযোগই নেই! বলা দরকার, তার ওই ছেলেটি ছিল ভয়াবহভাবে মাদকাসক্ত। কিছু অভিভাবকের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতা ছেলেমেয়েদের উচ্ছন্নে যেতে যে সহায়ক ভূমিকা পালন করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এজন্য সমাজবিজ্ঞানীরা পরামর্শ দেন সন্তানদের সঙ্গে পিতা-মাতার সম্পর্ক স্বাভাবিক ও গভীর করে তুলতে। সামাজিক মূল্যবোধের যে অবক্ষয় চলছে, তাকে রোধ করার ক্ষেত্রে পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করার গুরুত্ব অনেক।
সমাজের একশ্রেণির মানুষ টাকার নেশায় একরকম পাগল হয়ে উঠেছে। অর্থ-বিত্ত কামাইয়ের জন্য অনৈতিক কোনো কাজ করতে তাদের বিবেকে বাধে না। সেদিন ফেসবুকে এক ভদ্রলোক একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন— ‘স্বামীর পরকীয়ায় স্ত্রীরা যেমন ক্রুদ্ধ এবং প্রতিবাদী হন, তারা যদি স্বামীর ঘুষ খাওয়া বা অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধেও সেভাবে প্রতিবাদী হতেন, তাহলে দেশ থেকে দুর্নীতি অনেকাংশেই কমে যেত।’ ভদ্রলোকের বক্তব্যের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা নয়। যারা আজ দুই হাতে অবৈধ আয় করে সংসারকে সুখের সাগরে ভাসাচ্ছেন, তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন তার অপরাধের দায় শুধু তারই? স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন কেউই এর দায় নেবে না। কথিত আছে, দরবেশ শেখ ফরিদ একদিন নিজামউদ্দিন ডাকাতের কবলে পড়েছিলেন। শেখ ফরিদ জানতে চাইলেন, তোমার পেশা কী? ডাকাত নিজাম বলল, আমি ডাকাতি করি। শেখ ফরিদ বললেন, ডাকাতি কর কেন? নিজাম বলল, পরিবারের সবার ভরণপোষণের জন্য। তখন শেখ ফরিদ বললেন, তুমি তো জানো অপরের জিনিস কেড়ে নেওয়া পাপ। তুমি যাদের জন্য এ পাপকাজ করছ তারা কি এর দায়ভার নেবে? ডাকাত নিজামউদ্দিন তখনই ছুটে গেল বাড়িতে। বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান সবাইকে জিজ্ঞেস করল— এই যে আমি মানুষকে খুন করে, ডাকাতি করে টাকা পয়সা এনে তোমাদের খাওয়াই, এই পাপের ভাগ তোমরা কি নেবে? সবাই উত্তর দিল— তোমার দায়িত্ব আমাদের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করা। সেটা তুমি কোথা থেকে করবে তোমার ব্যাপার। আমাদের তা দিয়ে কী দরকার? আর আমরা তার দায় নিতে যাব কেন? নিজামউদ্দিন ছুটল দরবেশ শেখ ফরিদের কাছে। নিজেকে সমর্পণ করে বলল, আমাকে পথ দেখান। আমি আর খুন-ডাকাতি করব না। পাঠক, এই নিজাম ডাকাতই পরবর্তীকালে নিজামউদ্দিন আউলিয়া হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। ঘটনাটি উল্লেখ করলাম এজন্যে যে, স্ত্রী-সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আজ যারা অবৈধ পথে রোজগার করছেন, তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন, শেষবিচার তো বটেই, রাষ্ট্রীয় আইনের কাছে ধরা পড়লেও তার অপকর্মের দায় কেউ নেবে না। অনেককে দেখেছি, সন্তান বা স্বজনের অবৈধ পথে আয়-রোজগারের কথা বেশ গর্ব সহকারে বলেন। এক ভদ্রলোক আলাপচারিতায় একদিন বেশ গর্ব করে বলছিলেন, তার মেয়েজামাইটি এমনই চাকরি করে যে, অফিসে না গেলেও টাকা ঘরে চলে আসে। ভদ্রলোকের মেয়েজামাই কাস্টমসের একজন কর্মকর্তা। বলা বাহুল্য, এ ধরনের অপরিণামদর্শী অভিভাবকরা সমাজে দুর্নীতি ও অপরাধপ্রবণতা বিস্তারের জন্য অনেকাংশে দায়ী।
সন্তানদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতন ভূমিকার কথা অনস্বীকার্য। বাবা-মা যদি সন্তানের সৎ মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার বিষয়ে যত্নবান না হন, তাহলে ফলাফল ভালো হয় না। উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, আইনজীবী ও প্রাক্তন মন্ত্রী আবুল মনসুর আহমদ কখনোই বৈষয়িক ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না। তিনি তাঁর আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘আত্মকথা’য় লিখেছেন, তাঁকে তাঁর বন্ধুরা একসময় খুব চেপে ধরেছিল, নিজের জন্য না হোক, অন্তত ছেলেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁর একটি বাড়ি বানানো দরকার। তিনি জবাব দিয়েছিলেন, আমার বা সবার ছেলেরা তিন প্রকারের হতে পারে। তারা যদি আমার মতো হয়, তাহলে ভাড়াবাড়িতে জীবন কাটাতে তাদের সমস্যা হবে না। যদি আমার চেয়ে ভালো হয়, তাহলে তারা নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নিজেরাই করে নিতে পারবে। আর যদি আমার চেয়ে খারাপ হয়, তাহলে ওই বাড়ি নিয়ে ভাইয়ে-ভাইয়ে মারামারি করবে, তারপর বাড়ি বিক্রি করে ভাগাভাগি করে খাবে। তার চেয়ে বাড়ি বানানোর টাকা ওদের শিক্ষার পেছনে খরচ করে মানুষ বানানোই ভালো। মরহুম আবুল মনসুর আহমদের ভাবনাচিন্তার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশের অবকাশ নেই। অর্থবিত্ত নয়, সন্তানকে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তোলাই প্রতিটি মা-বাবার আরাধ্য হওয়া উচিত। আলোচ্য মা জলি আক্তার যদি অবৈধ পন্থায় বিত্তবান হওয়ার চেষ্টা না করে ছেলে ইফাজকে সৎপথে চলতে উদ্বুদ্ধ করত তাহলে আজ মা-ছেলেকে জেলের ঘানি টানতে হতো না। যে অর্থ-বিত্ত মান-সম্মান কেড়ে নেয়, সমাজে অপরাধী-দুষ্কৃতকারী হিসেবে পরিচিত করে, সে অর্থবিত্তের মালিক হয়ে কী লাভ?
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক