প্রবেশপত্রসহ সব কাগজপত্রে মায়ের নাম ভুল হওয়ার কারণে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি রুনা আক্তার নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। এ নিয়ে ক্ষোভ ও অভিমানে সে বাড়ীতে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তবে পরিবারের লোকজন দেখে ফেলার কারণে সে প্রাণে রক্ষা পায়।
আজ শনিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া গ্রামের মোল্লা বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।
রুনা মোল্লা বাড়ীর নুরু মোল্লার মেয়ে। তার মায়ের নাম পারভীন বেগম। রুনা আক্তার ওই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসার ২০১৯ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী।
রুনার বাবা নুরু মোল্লা জানান, মাদ্রাসার অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আসলেও রুনার প্রবেশপত্র পরীক্ষার আগে না আসায় ক্ষোভ ও অভিমান করে সে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ খবর জানতে পেরে মাদ্রাসা সুপার পলাতক রয়েছেন।
মাদ্রাসার অফিস সহকারী আব্দুল খালেক হাওলাদার জানান, বাবার নাম ঠিক থাকলেও রুনার মায়ের নাম প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভুল দেয়ার কারণে তার প্রবেশপত্র দিনাজপুর জেলায় চলে গেছে। কিন্তু পরীক্ষার পূর্ব পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি। ওই মাদ্রাসার সুপার (প্রধান) আহসান উল্যার কাছে প্রবেশপত্র না আসার কারণ জানার জন্য মাদ্রাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি এবং তার ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীর মামা ওমর ফারুক বলেন, প্রতিষ্ঠানের সুপার আহসান উল্যাহর দায়িত্ব অবহেলার কারণে তার ভাগনি পরীক্ষা দিতে পারেনি এবং একটি বছর পিছিয়ে পড়লো। পরীক্ষার আগে তার সব বকেয়া বাবদ ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পিতা নুরু মোল্লা চাঁদপুর মডেল থানা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা জানান, শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে না পারার কারণ তদন্ত করে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।