এশিয়া কাপের তৃতীয় ফাইনালেও ধরা দেয়নি শিরোপা। আফসোস আর হতাশা সঙ্গী করেই দেশে ফিরেছে টাইগার শিবির। পেছনের হতাশা কাটিয়ে সামনের দিকে তাকানোই মূল লক্ষ্য। সামনে এখন জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে হোম সিরিজ। ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজের লড়াই। তবে তার আগে চোটে জর্জর গোটা বাংলাদেশ দল, যা এশিয়া কাপ থেকেই শুরু। সবশেষ সংযোজন মাশরাফি বিন মুর্তজা। আঙুলের ইনজুরির কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজে তার খেলা নিয়ে দেখা দিয়েছে রাজ্যের শঙ্কা।
গতকাল বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘মাশরাফির হাত ও পায়ের মচকে যাওয়া ইনজুরি ঠিক হতে কমপক্ষে দুই থেকে তিন সপ্তাহ লাগে। মাশরাফির হাতে যে ব্যান্ডেজটা আছে, সেটি দুই সপ্তাহ পর খোলা হবে। তখন সত্যিকার অবস্থা বোঝা যাবে। তবে সাধারণত এসব ইনজুরি ভালো হতে ২১ দিনের মতো সময় লাগে।’ এমনটি হলে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে খেলা সম্ভব নয় নড়াইল এক্সপ্রেসের।
এশিয়া কাপে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রুবেলের বলে শোয়েব মালিকের ক্যাচ চিতার মতো লাফিয়ে নিয়েছিলেন মাশরাফি। সফলভাবে বলটা তালুবন্দি করেছিলেন। কিন্তু সে সময়ই ডান হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে ব্যথা পান তিনি। পরে হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। ফিল্ডিং করতে গিয়ে পুনরায় চোট পান পায়ে। সেসব ইনজুরি নিয়েই ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে খেলেছিলেন মাশরাফি। এরপর দেশে ফিরে এক্স-রে করালে জানা যায়, মাশরাফির ডান হাতের কনিষ্ঠা আঙুল ভেঙে গেছে। পাশাপাশি তার ডান পায়ের ঊরুর মাংসপেশিতেও দেখা মিলেছে চোটের। ঊরুর ইনজুরির ব্যাপারে দেবাশীষ জানান, সেটা গুরুতর কিছু নয়। বিশ্রাম পেলে দুই সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। মাশরাফি যেহেতু এখন পুরোপুরি বিশ্রামে, তাই ঊরুর ইনজুরি কোনো সমস্যা তৈরি করবে না।
মাশরাফিকে নিয়ে শঙ্কা থাকলেও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সাকিব যে খেলতে পারবেন না তা নিশ্চিত। আগামীকাল শুক্রবার চিকিৎসার জন্য তিনি যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায়। আঙুলের অস্ত্রোপচার হবে প্রায় এক মাস পর। সাকিব নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে থাকছে সংশয়। অন্যদিকে ইনজুরির শিকার তামিম ইকবালের অস্ত্রোপচার লাগেনি, যা স্বস্তির খবর। গতকাল মিরপুরে জিমে হালকা অনুশীলন করেছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে তামিম খেলতে পারবেন কি না, তা জানা যাবে আরো কয়েক দিন পর।