এক সন্তানের জননী (ছদ্ম নাম) রানীকে (২২)বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দফায় দফায় ধর্ষণ করেছে সোহাগ নামের লম্পট যুবক। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা বাদী হয়ে মাধবদী থানায় ধর্ষককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মাধবদীর আমদিয়া ইউনিয়নের মাথরা গ্রামের হতদরিদ্র ওসমান মিয়ার কন্যা রানী, স্ত্রী-সন্তানসহ অন্যের বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। একই গ্রামের সোবহান মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়ার কুনজরে পরে রানী। রানীর সঙ্গে ফিল্মি স্টাইলে অভিনয় করে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং রানীর বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করে। এতে রানীর বাবা-মা বাধা দিলেও চতুর সোহাগ রানীকে কৌশলে বাড়ি থেকে বের করে বিয়েল প্রলোভন দিয়ে দফায় দফায় ধর্ষণ করতে থাকে। রানী সোহাগকে বিয়ের চাপ দিলে আজ নয় কাল বিয়ে করবে বলে কালক্ষেপন করতে থাকে।
পরে রানী তার বাবা-মার কাছে ঘটনা খুলে বললে পিতা মাতা সোহাগের বাবা-মাকে জানালে রানীকে বিয়ে করাবে না বলে গাল মন্দ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে রানীর বাবা-মা গ্রামবাসীকে বিষয়টি জানায়।সোহাগের বাবা সোবহানকে চাপ দেয় গ্রামবাসী। গ্রামবাসীকে সোবহান সাফ জানায় তার ছেলেকে বিয়ে করাবে না। পরে রানীর পিতা মাতা নিরুপায় হয়ে রানীকে বাদী দিয়ে সোহাগকে আসামী করে মাধবদী থানায় একটি মামলা করে। এদিকে সোহাগের পিতা সোবহান তার ধর্ষক পুত্র দেশের বাইরে পাঠানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।