ধর্ম

মসজিদে পালনীয় শিষ্টাচার

  • মুফতি আল আমীন
  • প্রকাশিত ৪ এপ্রিল, ২০১৯

দুনিয়ায় আল্লাহতায়ালার প্রিয়তম স্থান হলো মসজিদ। যেখানে মুমিন বান্দারা নামাজ আদায় করেন, মহান আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা করেন, জিকির-আজকার, কোরআন তেলাওয়াতসহ ইবাদত বন্দেগি করে থাকেন। সুতরাং মসজিদে পালনীয় কিছু আদব-শিষ্টাচার হলো :

দরুদ ও দোয়া পড়া

মসজিদে প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার সময় দোয়া পড়া। মসজিদের প্রবেশের সময় ডান পা আগে রাখা ও বলা— ‘আল্লাহর নামে (প্রবেশ করছি), দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক নবী (সা.)-এর প্রতি। হে আল্লাহ! আমার জন্য তোমার রহমতের দরজা খুলে দাও।’ অনুরূপ মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময়ও বাম পা আগে রাখা ও বলা— ‘আল্লাহর নামে বের হচ্ছি, দরুদ ও সালাম হোক নবী (সা.)-এর প্রতি, হে আল্লাহ! আমি তোমার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি’ (মুসলিম)।

তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করা

মসজিদে প্রবেশের পর দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজ আদায় করার আগে না বসা। এ বিষয়ে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের মধ্যে কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সে যেন না বসে যতক্ষণ দুই রাকাত নামাজ না পড়ে’ (বোখারি)।

সুতরা স্থাপন করা

একা একা নামাজ আদায়কালে সামনে কিছু না থাকলে আড়াল তথা সুতরা নেওয়া। সুতরা এমন বস্তুকে বলা হয়, যা নামাজি তার সম্মুখে রাখে, যেন তার সামনে দিয়ে কেউ না যায়।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করা

মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ, কাঁচা রসুন, বিড়ি, তামাক তথা দুর্গন্ধ জাতীয় কিছু না খাওয়া। মুখে দুর্গন্ধ থাকলে তা দূর করে মসজিদে যেতে হবে। এজন্যই নামাজের আগে মেসওয়াকের প্রতি অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় ও ভিক্ষা না করা

এমন কাজ না করা উচিত, যা মসজিদের আদববহির্ভূত। যেমন— ক্রয়-বিক্রয় করা, হারানো বস্তু খোঁজা এবং ভিক্ষা করা। মসজিদে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে দোয়া-প্রার্থনা না করা। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘অবশ্যই মসজিদগুলো আল্লাহরই জন্য। সুতরাং আল্লাহর সঙ্গে তোমরা অন্য কাউকে ডেকো না’ (সুরা জিন : ১৮)।

নামাজে কাতার সোজা করা

নামাজের সময় মসজিদে লাইন সোজা করা এবং লাইনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। নবী (সা.) স্বয়ং লাইন সোজা করতেন এবং বলতেন, ‘বরাবর হয়ে যাও, ভিন্ন ভিন্ন হইও না; নচেত আল্লাহ তোমাদের অন্তরকে ভিন্ন ভিন্ন করে দেবেন, বড় ও জ্ঞানীরা যেন আমার কাছে থাকে’ (মুসলিম)।

 

লেখক : ইসলামবিষয়ক চিন্তাবিদ

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads