মর্যাদার লড়াইয়ে শাহীন-সুলতান

এম এম শাহীন ও সুলতান ও সুলতান মো. মনসুর

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

মৌলভীবাজার-০২ কুলাউড়া আসন

মর্যাদার লড়াইয়ে শাহীন-সুলতান

  • কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

রাত পোহালেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-০২ কুলাউড়া আসনে মর্যাদার লড়াইয়ে নেমেছেন শাহীন-সুলতান। ৩০ ডিসেম্বর কে রচনা করবেন ইতিহাস? অপেক্ষায় কুলাউড়ার ২ লাখ ৪১ হাজার ১৬৮ জন ভোটার। যদিও নির্বাচনের ২৬ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় পুলিশী বাঁধার অভিযোগ এনে মাঠ ছেড়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী সুলতান মো. মনসুর। আর প্রচারণার শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত মানুষের কাছে ভোট চেয়ে মাঠে আছেন মহাজোটের নৌকার কাণ্ডারি এম এম শাহীন।

মৌলভীবাজার -০২ কুলাউড়া আসনে বিএনপি’র ধানের শীষ স্বাধীনতার পর কোনো নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেনি। কেবল ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সেই প্রহসনের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে কিছুদিনের জন্য এমএম শাহীন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। এরপর ১২ জুনের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন সুলতান মো. মনসুর। এরপর আর এই আসনে নৌকা বিজয়ী হয়নি। কুলাউড়ার নির্বাচনী মাঠে চমক সৃষ্টিকারী হিসেবে পরিচিত এমএম শাহীন নিজের জনপ্রিয়তা এবং ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থবারের নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করতে প্রস্তুত। অন্যদিকে কুলাউড়ার আওয়ামী বিরোধী সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের মন কি করতে পারবেন সুলতান মো. মনসুর? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচনের ফল আসা পর্যন্ত।

মহাজোট প্রার্থী এমএম শাহীন ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী সুলতান মো. মনসুর দল বদলের রাজনীতির পর নির্বাচনের প্রচার প্রচারণার সময়কাল জুড়ে ছিলো তীব্র আলোচনা সমালোচনা। ভোটারদের মতে, সুলতান মো. মনসুরের প্রচারণা জুড়ে ছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তিমুলক বক্তব্য। আর এতে হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জন্য। দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামে নৌকার পক্ষে।

আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক সিএম জয়নাল আবেদীন জানান, সুলতান মো. মনসুরের উসকানিমূলক বক্তব্যে উত্তেজিত হয়ে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা নৌকার ৮টি অফিস ভাঙচুর করে। তাদের সন্ত্রাসী হামলায় আওয়ামী নৌকার প্রায় অর্ধশত কর্মী সমর্থক আহত হয়। শুধু তাই নয় প্রার্থী নিজে পুলিশের গায়ে হাত তুলেন। এতে ৪ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়। কুলাউড়ায় বিএনপি জামায়াতের এমন তাণ্ডবলীলায় আওয়ামী লীগ কোনো প্রতিবাদ না করায় ভোট যত ঘনিয়ে এসেছে নৌকার প্রতি মানুষের সমর্থন তত বেড়েছে। নৌকার জয়ের ক্ষেত্রে এটি নিয়ামক  ভূমিকা পালন করবে।

বিএনপির নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শীর্ষ নেতা জানান, তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়েছেন। কিন্তু তিনি খালেদা জিয়া মুক্তি কিংবা তারেক রহমানের মামলা কিংবা দেশে ফেরার ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেননি। তার উসকানীমূলক বক্তব্য শুনে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা করার দুঃসাহস করছে। আর মামলার আসামী হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। কুলাউড়ায় জামায়াত শিবিরের বহিরাগত অনেক কর্মী রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মো. মনসুর আহমদ ২৭ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, পুলিশের কারণে তিনি মাঠে গণসংযোগ করতে পারছেন না। তবে নির্বাচনী মাঠ ছাড়বেন না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads