গ্রামবাংলায় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই এলাকায় চিকিৎসাশাস্ত্রে শিক্ষার হার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে শরীয়তপুরের মধুপুরে বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজসেবক জেডএইচ সিকদার তার স্ত্রীর নামানুসারে মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। এতে করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীসহ এ এলাকার মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসাশাস্ত্রে শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ও মেডিকেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এখানে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করায় এটি এ এলাকার মানুষের চিকিৎসা চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।
রামভদ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মধুপুর এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব সিকদার জানান, গ্রাম-বাংলায় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ এলাকায় মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসাশাস্ত্রে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে বিশিষ্ট শিল্পপতি জেডএইচ সিকদার শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুরে ১৯৯৮ সালে বেসরকারি উদ্যোগে তার স্ত্রী মনোয়ারা সিকদারের নামে ১ লাখ ৮ হাজার বর্গফুটের ২৫০ শয্যার একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ও বিষেশজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা এখানে প্রতিদিন নিরলসভাবে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। মেডিকেল কলেজ পরিচালনার জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যাবতীয় সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতিসহ পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছে এ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ২০১৬ সালে সরকারি অনুমোদনের পর মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাত্রছাত্রী ভর্তি করছে। এতে এ এলাকার শত শত ছাত্রছাত্রী চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি চিকিৎসাশাস্ত্রে শিক্ষিত হয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে।
মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী আমিন উদ্দিন ঢালি বলেন, এ এলাকায় মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করায় এখন আমাদের শরীয়তপুর সদর ও ঢাকা যেতে হয় না। আমরা চাই খুব দ্রুত মেডিকেল কলেজ চালু হোক। মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহবুবা আকন্দ বলেন, আমাদের মেডিকেলে উন্নতমানের সরঞ্জামাদি ও অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছি। মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি জেডএইচ সিকদার বলেন, এ এলাকার মেয়েরা চিকিৎসাশাস্ত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। পাশাপাশি অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রী সুযোগের অভাবে প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে না। তাই আমি অজপাড়াগাঁয়ে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছি।