অভিনেতা শাহেদ আলী। যিনি সুজন নামে সবার কাছে পরিচিত। অভিনয় করছেন নিয়মিত। প্রায় দুই দশক যুক্ত আছেন মঞ্চনাটকের সঙ্গে। খণ্ড ও ধারাবাহিক নাটকে তার উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। কাজ করেছেন অজ্ঞাতনামা, কালের পুতুল, স্বপ্নজালসহ বেশ কয়েকটি দর্শকপ্রিয় সিনেমায়। তবে একেবারে গা ছাড়া অভিনয়ের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত নন। ভালো গল্প ও ভালো চরিত্র এই দুটির ওপরই নির্ভর করে তার অভিনয় করার ব্যাপারটি। বলতে গেলে চরিত্রনির্ভর গল্পগুলোতেই তিনি অভিনয় করে থাকেন। অভিনয়ের বাইরে ব্যক্তিজীবনে তিনি ২০০৬ সালের ২৭ মে বিয়ে করেন অভিনেত্রী দীপা খন্দকারকে।
বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে শাহেদ আলী বলেন, ‘এখন মঞ্চনাটক নিয়েই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই প্রাচ্যনাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত আছি। মঞ্চই আমার হাতেখড়ি। এ ছাড়া খণ্ডনাটক ও ধারাবাহিকে নিয়মিত কাজ করছি। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কথাবার্তাও চলছে। সেসব এখনো চূড়ান্ত হয়নি। হলে সবাইকে জানাব। নিজেকে সব মাধ্যমেই যুক্ত রাখার চেষ্টা করছি।’
বর্তমানে নাটকের মান সম্পর্কে শাহেদ আলী বিচারের ভার দেন দর্শকদের। তবে পেশাদারির জায়গা থেকে বিচার করলে, বর্তমানে নাটকের অবস্থা তেমন একটা সুবিধাজনক নয় বলে মনে করেন এই তারকা। বলেন, ‘আমরা খুব বেশি সুবিধাজনক জায়গায় নেই। এমনকি সামনের দিনে কতটুকু ভালো থাকা সম্ভব তা নিয়েও আমি সন্দিহান। বিষয়টি আমি নেতিবাচকভাবেও দেখতে পারছি না। আবার আশাবাদী হওয়ার মতোও কিছু দেখছি না।’
বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন তারকার জনপ্রিয়তা তার নাটকের সংখ্যা দিয়ে বিচার করেন। অনেকেই মনে করেন যে তারকা যত বেশি নাটক করেন তার জনপ্রিয়তা কিংবা গ্রহণযোগ্যতা বেশি। এ বিষয়ে শাহেদ বলেন, ‘অনেকেই ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা বোঝানোর জন্য সংখ্যার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। হয়তো সংখ্যার বিচারে অনেকেই এগিয়ে রয়েছেন। তবে সংখ্যাই কাজের মানদণ্ড নয়। সামগ্রিকভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে কোনো কোনো শিল্পীর ক্ষেত্রে হয়তো বিষয়টি পুরোপুরি ইতিবাচক। তবে সবার জন্য ইতিবাচক নয়। সামনের দিকে এর অবস্থা কতটা উন্নতি হবে, তা নিয়েও আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। পুরো বিষয়টি একটি দোলাচলের মধ্যে রয়েছে। তবে সুদিন আসবে, আজ অথবা কাল।’
আসলে কী ধরনের গল্পে কাজ করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে এই তারকা বলেন, ‘গল্পের চরিত্র যাই হোক না কেন সেটা যদি গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলেই ওই সমস্ত নাটক কিংবা চলচ্চিত্রে অভিনয় করি। মূলত গল্পে চরিত্রটির ভূমিকা যদি থাকে তাহলেই কাজ করি। ধরেন পুরো গল্পজুড়েই আমি রয়েছি কিন্তু চরিত্রটির কোনো গুরুত্ব নেই তাহলে এই গল্পে আর আমি অভিনয় করি না।’
বিজ্ঞাপনে এখন আর তেমন দেখা যায় না। এ বিষয়ে শাহেদ আলী বলেন, ‘কারণ হলো, ওই একটাই। ভালো গল্প না হলে বিজ্ঞাপন করে লাভটা কি। এমনিতেই বিজ্ঞাপন নিয়ে বাংলাদেশের দর্শক তেমন একটা আগ্রহী নয়। কিন্তু যদি ভালো গল্প থাকে বিজ্ঞাপনে তাহলে হয়তো দর্শক আর বিরক্ত হবে না। বিজ্ঞাপনটি দেখবে। অনেক বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব আসে কিন্তু গল্প ভালো লাগে না তাই আর করা হয় না। এখন দেখা যাক অদূরভবিষ্যতে কী হয়।’





