ভোলার লালমোহনের ডাওরি বাজারে আজ বৃহস্পতিবার জেলা যুবদলের নেতা-কর্মীদের বহনকারী মাইক্রোতে হামলা চালিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এতে জেলা যুবদলের সভাপতি, সম্পাদকসহ কমপক্ষে ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে লালমোহন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় গুরুতর আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পুলিশি ঝামেলা এড়াতে আত্মগোপন করেছেন।
জেলা যুবদল সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন জানান, আজ সকালে ভোলা-৪ আসনের দলীয় সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সাথে দেখা করতে ভোলা জেলা যুবদল ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা চরফ্যাশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। নেতা-কর্মীরা লালমোহন উপজেলার ডাওরী বাজার এলাকায় পৌছালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাদের গাড়ি বহরে বাধা দেয়। এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উপর এলোপাথারি হামলা চালায়। হামলায় তার সঙ্গীয় যুবদল, ছাত্রদলের ১৫ জন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়। আহতরা হলেন, জেলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, সম্পাদক আবদুল কাদের সেলিম, সহ-সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, যুবদল নেতা নকীব, জিয়াউর রহমান পলাশ, মাসুম, সুফিয়ান, সুজন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম, ছাত্রদল নেতা বাপ্পী, আমির হোসেন, সোহরাব, আবদুর রহমান। হামলাকারীরা এ সময় দু’টি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে লালমোহন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লালমোহন পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাদল জানান, এটি বিএনপির ভেতরগত বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কোনো সম্পর্ক নেই।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর খায়রুল কবির জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।