একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। নির্বাচনে সার্বিক পরিবেশ ও ভোটগ্রহণের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতা দেখতে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা গতকাল রোববার ভোটের দিন বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সরেজমিন ঢাকার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের কাছে তাদের পর্যবেক্ষণ প্রতিক্রিয়া জানান।
ভারতের পর্যবেক্ষক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ ভোট দিয়েছে। জনগণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছে এবং প্রশাসন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘চারদিকে অবস্থা ছিল শান্তিপূর্ণ এবং আমি মনে করি সবকিছু ঠিকঠাক ছিল।’
বাংলাদেশ ও ভারতের নির্বাচনের মধ্যে কোনো মিল আছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি একই জিনিস দেখতে পেয়েছি। সেখানেও জনগণ লাইনে দাঁড়িয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয় এবং এখানেও একই ঘটনা ঘটেছে। এখানে অবস্থা ছিল শান্তিপূর্ণ।’
কানাডার একজন পর্যবেক্ষক বলেন, ‘আমরা কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি এবং দেখেছি ভোটাররা ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে যেতে পারছে।’ নির্বাচন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্যে চলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণের মতামত প্রতিষ্ঠার জন্য কর্মকর্তারা অত্যন্ত ভালো কাজ করছে।’
আজ সোমবার নির্বাচন সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যবেক্ষণ প্রতিক্রিয়া জানাবেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। গত শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অর্ধশতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক ঢাকায় এসে পৌঁছান। পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিকদের জন্য হোটেল সোনারগাঁওয়ে পৃথক দুটি মিডিয়া সেন্টার খোলা হয়েছে। এই সেন্টারে তারা ২৪ ঘণ্টা সুবিধা পাবেন এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুবিধা থাকবে।
৯ আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ১২ বিদেশি মিশনের ১৮৮ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য নিবন্ধন করেন। সংস্থাগুলোর মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, ওআইসি, ফোরাম অব ইলেকশন কমিশন ম্যানেজমেন্ট অব সাউথ এশিয়া, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট, ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস, ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনাল, দ্বিপেন্দ্র ক্যান্ডেল ইনিশিয়েটিভ এবং সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষক পাঠান।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, কানাডা, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নাইজেরিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ফিলিস্তিন, ফিলিপিন্সসহ বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।
