ডাকসুর পুনর্নির্বাচনের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগ। দীর্ঘ ২৮ বছর পর গতকাল সোমবার হওয়া ডাকসু নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় ভোটের দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এদিকে ভিসির বাসভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এসময় ক্ষমতাসীন দলেন নেতাকৃর্মীদের ভোট বাতিল চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না’, ‘স্বাধীনাতবিরোধীদের পুনর্বাসন চলবে না’ এসব স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
ভিসির বাসভবনের সামনে থাকা ছাত্রলীগের এক কর্মী বলেন, মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে নুরু ভোটারদের প্রভাবিত হয়েছে। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী। তাকে মানি না। তাকে বহিষ্কার করা হোক। তারা নির্বাচন বর্জন করেছে। তারা কিভাবে নির্বাচিত হয়?
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্বাবিদ্যালয়ে ধর্মঘট নয়, ক্লাস বর্জন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশের মুখে প্রতিটি গেট বন্ধ করে দিয়ে গাড়ি ও সাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
উল্লেখ, গতকাল সোমবার রাত ৩টা ২৪ মিনিটে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পদাধিকার বলে ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
এতে ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর। তিনি ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সমর্থিত প্যানেল থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করেন। তবে জিএস, এজিএসসহ ডাকসুর বেশিরভাগ পদে ছাত্রলীগের প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন। জিএস পদে গোলাম রাব্বানী ও এজিএস পদে সাদ্দাম হোসাইন বিজয়ী হন।
নুর ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।





