ভারত থেকে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এই চাল আনা হচ্ছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৭৭ কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
ভারতের মেসার্স পি কে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড দরপত্রে সর্বনিম্ন দরপত্র দেওয়ায়, তাদের চাল সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তরের দৈনিক খাদ্যশস্য পরিস্থিতি প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে মজুত চালের পরিমাণ ৪ দশমিক ৭৮ লাখ মেট্রিক টন। আর গম ০ দশমিক ৭৯ লাখ মেট্রিক টন। সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ নিরাপত্তা মজুত সুসংহত করতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কেনা জরুরি।
আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ২ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন এবং জি টু জি ভিত্তিতে ৩ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন চাল কেনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জি টু জি ভিত্তিতে আরো ৩ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে ১ দশমিক ৯০ লাখ মেট্রিক টন চাল কেনা হয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে সরকারিভাবে খাদ্যশস্য আমদানির ক্ষেত্রে পণ্যবাহী জাহাজ বন্দরে আসার পর পণ্য খালাসের আগেই দরদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পর্যায়ক্রমে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই নমুনা প্রথমে খাদ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও খুলনায় পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়। এরপর সেই নমুনা কম্পোজিট করে এক প্যাকেট পরীক্ষার জন্য খাদ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা করে গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়। দরপত্রে উল্লিখিত নির্দেশের কোনো প্যারামিটারের সঙ্গে পণ্যেরগুণগত মান কম হলে দরপত্রে চাল প্রত্যাখ্যান করার বিধান রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, মূল্যায়ন কমিটি সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ২টি প্রতিষ্ঠানকে গ্রহণযোগ্য দরদাতা ঘোষণা করে। এরপর ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চালের জন্য দরপত্রের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স পি কে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের উদ্ধৃত দর প্রতি মেট্রিক টন ৪১৭ দশমিক ৭১ মার্কিন ডলার গ্রহণের সুপারিশ করে। খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের সঙ্গে একমত পোষণ করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে ক্রয় প্রস্তাব পাঠান।
প্রস্তাব অনুযায়ী মেসার্স পি কে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের এর কাছ থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৪১৭ দশমিক ৭১ মার্কিন ডলার (প্রতি কেজি ৩৫.৪২ টাকা) দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল কেনার সুপারিশ করা হয়েছে।
খাদ্য অধিপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রতি মেট্রিক টন ৪১৭ দশমিক ৭১ মার্কিন ডলার হিসাবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কিনতে মোট ২ কোটি ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার খরচ হবে। এই অর্থ ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের চাল ক্রয় খাত থেকে মেটানো হবে।