ভারত থেকে আমদানি করা চাল খালাস শুরু

সংগৃহীত ছবি

আমদানি-রফতানি

ভারত থেকে আমদানি করা চাল খালাস শুরু

  • প্রকাশিত ৬ এপ্রিল, ২০২১

প্রায় ২৫ ঘণ্টা পর অবশেষে সরকারের আমদানি করা চাল গত রোববার বিকাল ৪টা থেকে খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরকারিভাবে ভারত থেকে প্লাস্টিক বস্তায় আমদানি করা সিদ্ধ চালের বস্তার ওজন কম এবং আর্দ্রতা কম-বেশি হওয়ায় গত শনিবার ওয়াগন খুললেও শেষ পর্যন্ত খালাস কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় খাদ্য বিভাগ।

জানা গেছে, সরকারিভাবে পাশের দেশ ভারত থেকে সিদ্ধ চালের আমদানিপত্র খোলা হয়েছে। এরমধ্যে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল দেশের বৃহত্তম খাদ্য সংরক্ষণাগার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার সিএসডিতে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দর্শনা রেলওয়ে বন্দর দিয়ে প্রথম পর্যায়ে ৪২ ওয়াগন এসেছে। এরমধ্যে ৩১টি ওয়াগন শুক্রবার রাতে সান্তাহার জংশন স্টেশনে এসেছে। গত শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি এম ফারুক হোসেন পাটোয়ারি এবং বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুজ্জামান মুকুল সান্তাহার রেলওয়ে খালাস পয়েন্টে আসেন। বেলা দেড়টার দিকে চালবাহী ভারতীয় ওয়াগনের সিল ও রিপিট খোলা হয়। এরপর চালের প্রতিটি বস্তার ওজন ও আর্দ্রতা পরীক্ষা করা হয়। এসময় এক এক করে প্রায় অর্ধশত বস্তা চাল ইলেকট্রিক ওজন যন্ত্রে ওজন করা হয়। কোনো বস্তায় ৫০ কেজি চাল মেলেনি। কম মিলেছে পৌনে এক কেজি পর্যন্ত এবং আর্দ্রতা সাড়ে ১৩ থেকে ১৪ দশমিক ৮ পয়েন্ট পর্যন্ত মেলে। এঅবস্থায় চাল খালাস কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে ফের সিল ও রিপিট করে দেওয়া হয়। এরপর আর্দ্রতা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়ার জন্য চালের নমুনা বিশেষ বাহকের মাধ্যমে ঢাকায় খাদ্য বিভাগের ল্যাবরেটরি টেস্টের জন্য পাঠানো হয়।

এবিষয়ে গত রোববার বিকালে রাজশাহী বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি এম ফারুক হোসেন পাটোয়ারির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে খালাসের অনুমতি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে খালাস কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। চালভর্তি বস্তার ওজন কম বিষয়ে বলেন, আমরা বস্তার ওজনকে প্রাধান্য না দিয়ে ওজন সেতুতে ট্রাক ওজনে গড় ওজন নেব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads