ব্লটুথ হেডসেটের খুঁটিনাটি

ছবি : সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি

ব্লটুথ হেডসেটের খুঁটিনাটি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সাথে তাল মিলিয়ে হেডসেটের প্রযুক্তিতেও আসছে পরিবর্তন। হেডসেট কেনার ক্ষেত্রে এখন অনেকেরই পছন্দ তারবিহীন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এমন হেডসেটগুলো। আকর্ষণীয় ডিজাইন, সহজে ব্যবহারযোগ্য ও তারের ঝামেলা না থাকায় এখন অনেকেই বেছে নিচ্ছেন এমন হেডসেট।

তবে তারবিহীন বা ব্লটুথ হেডসেট কেনার ক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

শব্দের মান

একটি ব্লুটুথ হেডসেটে শব্দের মান কতটা ভালো হবে তা নির্ভর করে কোন অডিও কোডেক ব্যবহার করা হয়েছে তার ওপর। কোডেক হলো একটি প্রোগ্রাম যা এক প্রান্তে শব্দকে এনকোড করে এবং অপর প্রান্তে ডিকোড করে।

শব্দের মানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আরো একটি কোডেক হলো অ্যাপ্ট এক্স। গত কয়েক বছর ধরে বাজারে আসা প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসেই এ কোডেকটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনেকটা সিডি কোয়ালিটির শব্দ হেডফোনে পাওয়া সম্ভব যার বিটরেট ৩৫২ কেবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে।

এ ছাড়া বর্তমানে অ্যাপ্ট এক্স এইচডডি উন্মুক্ত হয়েছে যা ৫৭৬ কেবিপিএস পর্যন্ত বিটরেট প্রদান করতে সক্ষম। কিছু হাইএন্ড অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে এ কোডেকটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

ব্যাটারি লাইফ

ব্লুটুথ হেডসেটে প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান আসে এতে থাকা রিচার্জেবল ব্যাটারি থেকে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য ডিভাইসের মতো এ ডিভাইসটিও কতক্ষণ ব্যবহার করা যাবে তা নির্ভর করছে এর ব্যাটারি লাইফের ওপর। মোটামুটি ২০ থেকে ৩০ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দেবে এক্ষেত্রে এমন ডিভাইসই বেছে নেওয়া ভালো। এর বাইরে ভলিউম লেভেলও ব্যাটারির চার্জ কত দ্রুত শেষ হবে তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে।

ডিজাইন ও আকার

বর্তমানে মোটামুটি তিনটি ভিন্ন ধরনের ডিজাইনের তারবিহীন বা ব্লুটুথ হেডসেট বাজারে পাওয়া যায়। এর একটি হলো ওভার ইয়ার বা বড় আকৃতির হেডসেট। দ্বিতীয়ত ইন ইয়ার এবং এরপরই রয়েছে এয়ারবাড ডিজাইনের যা অ্যাপল প্রথম উন্মুক্ত করেছিল।

ডিজাইন যেমনই হোক না কেন, কাজের ধরন কিন্তু সবগুলোর ক্ষেত্রে একই। তবে এয়ারবাডের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যাও রয়েছে। এগুলোতে ল্যাটেন্সি সমস্যায় পড়তে হতে পারে, ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে উপযুক্ত নয়। এছাড়া ব্যাটারি লাইফও খুবই কম হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads