ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার নির্ধারিত মূল্য ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রিতে অপারগতা প্রকাশ করে জেলা শহরের সব দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। মাংসের দাম পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল থেকে ব্যবসায়ীরা মাংস বিক্রি বন্ধ রাখেন।
মাংস ব্যবসায়ী মো. জাকির, হোসেন ও শামীম বলেন, সকালে সরকারের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে আমাদেরকে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করার জন্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অথচ আমাদেরকে খামার বা ব্যাপারীদের কাছ থেকে প্রতিকেজি গরুর মাংস চামড়া সহ ক্রয় করতে হচ্ছে ৭২০টা দরে। খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি মাংস আমরা বিক্রয়করি ৭৫০টাকা দরে। কম দামে মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয় বিধায় আমরা আজ সকাল থেকে শহরের প্রধান বাজার আনন্দবাজার, মেড্ডা বাজার, ফারুকী বাজার, কাউতলী বাজার এবং মোড়াইলের বউ বাজারে আমরা গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমাদের মাংস বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা খামারি এবং ব্যাপারী থেকে গরু সংগ্রহ করে থাকে। তারা চামড়াসহ আস্ত গরু ক্রয় করে বাজারে জবাই করে থাকেন এতে ৭২০ টাকার মতো প্রতি কেজিতে দাম পড়ে এ অবস্থায় সরকার ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা নির্ধারণ করেছে। তা আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাজারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। অবশ্যই দাম সমন্বয় করতে হবে। কারণ খামারে গরুর দাম কমাতে হবে। দাম পুনরায় নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় এই মাংসের বাজার বন্ধ রাখা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।
এদিকে পবিত্র রমজান মাসে বাজারে এসে কাঙ্ক্ষিত গরুর মাংসের দেখা না পেয়ে অনেক ক্রেতা ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শহরে ফারুকী বাজার আসা ক্রেতা মো. রবিউল্লা ও মনির মিয়া জানান, তিনি বাড়ি থেকে গরুর মাংস ক্রয় করবেন বলে বাজারে এসেছেন। এসে দেখেন, সকল মাংসের দোকান বন্ধ। এ নিয়ে তিনি কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, গরুর মাংস কিনতে না পেরে ফার্মের মুরগি নিয়ে বাসায় যাচ্ছি। রোজা- রমজান মাসে এমনটা প্রত্যাশা করিনি। আশা করি ব্যবসায়ীরা দ্রুত তাদের সমস্যার সমাধান করে দোকানগুলো আবারও চালু করবেন।
এদিকে শহরের ফারুকী বাজারে বাজার দরের লিফলেট বিতরণের সময় পলাশ মন্ডল নামে কৃষি বিপণন অধিদফতরের এক কর্মচারী জানান, মহাপরিচালকের কার্যালয়ের নির্দেশনা ক্রমে বাজারে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এর বেশি আমার জানা নেই।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং ফলপ্রসূ আলোচনা ক্রমে এ সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
/মামুন