ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন ডাউনলোড গতি ১০ মেগাবিট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস) নির্ধারণ করে নতুন করে একটি বিধিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন ডাউনলোড গতির পাশাপাশি আপলোডের গতি ন্যূনতম এক এমবিপিএস নির্ধারণ করা হয়েছে এই বিধিমালায়।
গত ১১ নভেম্বর জারিকৃত ‘এএনএস অপারেটরস (অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস) কোয়ালিটি অব সার্ভিস’ বিধিমালায় ব্রডব্যান্ডের গতি উল্লেখ না থাকায় নতুন করে গতি নির্ধারণ করে গত ৯ ডিসেম্বর আবারো বিধিমালাটি জারি করে বিটিআরসি।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়, এক মাসের গড় হিসাব ধরে ব্রডব্যান্ডের গতি ঠিক আছে কি না, তা বিবেচনায় নেওয়া হবে। নির্ধারিত মানদণ্ড না মানলে অপারেটরদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতদিন এসব বিষয় শুধু গাইডলাইন ও নির্দেশনার মধ্যে থাকলেও টেলিফোন, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে ন্যূনতম একটি মান ধরে রাখতে এবার তা বিধিমালার মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে।
নতুন বিধিমালার আওতায় এএনএস অপারেটরদের (মোবাইল, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবাদাতা) নিয়ে আসা হয়েছে। নতুন বিধিমালায় মোবাইল ফোনের সফল কলের হার কমপক্ষে ৯৭ শতাংশ, কল ড্রপের হার ২ শতাংশের কম, সফল ক্ষুদে বার্তার হার ৯৮ শতাংশের বেশি, ইন্টারনেটের ডাউনলোড গতি টুজির ক্ষেত্রে ৮০ কেবিপিএস, থ্রিজির ক্ষেত্রে ২ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড) ও ফোরজির ক্ষেত্রে ৭ এমবিপিএস হতে হবে। কল সংযোগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সময় ৭ সেকেন্ড, কথা কতটুকু পরিষ্কার শোনা যায়, তা মানের ভিত্তিতে পাঁচটি ভাগে ভাগ করে অপারেটরকে পাঁচের মধ্যে সাড়ে তিন নম্বরের ওপর পেতে হবে। এ ছাড়া কাস্টমার কেয়ারে ৯০ শতাংশ কল ৪০ সেকেন্ড ও শতভাগ কল ৯০ সেকেন্ডে ধরা এবং গ্রাহকের ৯০ শতাংশ অভিযোগ পাঁচ দিনের মধ্য নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিধিমালায়।