বিয়ে করে নববধুকে নিয়ে ফেরার পথেই মাইক্রোবাস থেকে অপহরণ হয়েছে বর। ঘটনার ১৫দিন অতিবাহিত হলেও বর উদ্ধার হয়নি। কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে ৬ জুন রাতে নারায়ণগঞ্জ কাচপুর সেতুর পাশে মাইক্রোবাস থামিয়ে ৪জন অস্ত্রধারী তাকে নামিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাও থানায় ১৮জুন স্বজনরা জিডি করলেও অপহৃত ব্যবসায়ীর কোন সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ। অপহৃত মেহেদী মোরশেদ পলাশ (৩৩) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ গ্রামের মৃত মুকছেদ আলীর ছেলে। সে ঢাকায় খিলগাও এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতো এবং তার একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের শো-রুম ছিল।
রোববার সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের নিউজ হোমে অপহৃত মেহেদী মোরশেদ পলাশের বড় বোন মীনা পারভীন সংবাদ সংন্মেলন করে এ তথ্য জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পারিবারিকভাবে ২০ মার্চ কক্সবাজারের মোহাজেরপাড়ার মরহুম শামসুল আলমের কনিষ্ঠ কন্যা তানজিয়া আক্তারকে বিয়ে করে পলাশ। আনুষ্ঠানিকভাবে নববধুকে উঠিয়ে আনার দিন ছিল ২ জুন। কিন্তু পরবর্তীতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে লকডাউনের কারনে তারিখ পিছিয়ে করা হয় ৫ জুন। বিয়ে পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৫জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমরা নববধু তানজিয়া আক্তার, তার ভাগ্নে সাজিদ, ভাগ্নি তাহিয়াকে সাথে নিয়ে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে নিজ বাড়ি সিরাজগঞ্জের দিকে রওনা হই। ৬ জুন ভোর ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রীজের পূর্ব ঢালে ঢাকাগামী লেনে পৌছার পর অজ্ঞাতনামা ৪ জন ব্যক্তি সাদা পোশাকে নিজেদের আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে আমাদের মাইক্রোবাস থামায়। তাদের সবার হাতে পিস্তল থাকলেও ওয়াকিটকি ছিল না। এসময় তারা পলাশকে নামিয়ে নিয়ে অদুরে দাঁড়িয়ে থাকা (ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩-৭০৯৫) পাজেরো গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ১৫দিন অতিবাহিত হলেও পলাশের কোন খোঁজ মেলেনি। এ ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, সোনারগাও থানা, বন্দর থানা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, র্যাব-১০ ও ১১ এবং নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার অফিসে যোগাযোগ করা হলেও আমার ভাইয়ের কোন খোজ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় ১৮ জুন নারায়ণগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডাইরী করা হয়েছে। যার নং ৬০৪।
বড় বোন মীনা পারভীন তার অপহৃত ভাইকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সংবাদ সন্মেলনে অপহৃত পলাশের নববধু তানিজয়া আক্তার, ভাগ্নে মঞ্জুর হাসান রতন, স্ত্রীর ভাগ্নি তাহিয়া নাসেরসহ পরিবারের অন্যন্যা স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
