চা এক সময়ে রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। চায়ের হারানো গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে বর্তমান সরকার। কেননা চা একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল ও রফতানি পণ্য। বিশ্বজুড়ে ক্রেতারা চায়ের রঙ, ঘ্রাণ ও স্বাদ— এই তিনটি বিষয়ে গুণগত মান উন্নত করার ওপরই জোরালো তাগিদ দিয়ে থাকে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর ৫০ লাখ কেজি চা রফতানি হয়। আধুনিক প্রযুক্তির সমাহারে ভারত, মালয়েশিয়া, কেনিয়া ও শ্রীলঙ্কার চা শিল্প অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে চা উৎপাদনে ১১তম এবং চা রফতানিতে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে। আগে বিশ্বের চা রফতানির এক দশমিক ৭৪ ভাগ চায়ের জোগান দেওয়া হতো বাংলাদেশ থেকে। এখন বিশ্বের ২৫টি দেশে চা রফতানি করা হয়। আর বিশ্বের ১৭টি চা রফতানিকারক দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৫ নম্বরে। তবে আশা-নিরাশার মধ্য দিয়েই চা শিল্পে বাংলাদেশের বেশকিছু প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্র্যান্ডকে পরিচিত করে তুলেছে দেশে বিদেশে। যেমন— ইস্পাহানি মির্জাপুর চা, ইউনিলিভারের তাজা ব্র্যান্ডের চা, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ফ্রেশ ব্র্যান্ডের চা, দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি লিমিটেডের ফিনলে চা, আবুল খায়ের গ্রুপের সিলন গোল্ড চা, এইচআরসি গ্রুপের এইচআরসি চা, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের প্রাণ চা, কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেটের অরগানিক মিনা চা।