আজকাল একক নাটক বা বিশেষ নাটকে খুব একটা বক্তব্যধর্মী মেজাজ দেখা যায় না। একদিকে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের চাপ তো অন্যদিকে জনপ্রিয় মুখগুলোর ব্যস্ততা। এরপর বড় ডাকসাইটের নির্মাতার কাছেও নবীনরা কোণঠাসা। সব মিলিয়ে ব্যাটে-বলে হয় না বললেই চলে। তবে এসবের ভিড়ে নবীন পরিচালক এস এম রুবেল রানা নির্মাণ করেছেন ব্যতিক্রমধর্মী বিশেষ নাটক ‘আলো ছায়া’। এতে দুটো প্রাণের ভালোবাসার গভীরতা বোঝানো হয়েছে। যেখানে রূপ বা জৌঁলসুটাই জীবনে যে সবকিছু না তা বোঝানো হয়েছে। সম্পর্কের গভীরতা তৈরি হয় পারস্পরিক আস্থা থেকে। সেই আস্থা নিয়ে বেঁচে থাকা যায় অনন্তকাল, পেছনে কাটানো প্রিয়মুখের উষ্ণতা অনুভবে।
নাটকের চরিত্রের নায়ক এলবার্টকে দেখা যায় ক্যামেলিয়ার রূপে মুগ্ধ হয়ে সাক্ষাতের প্রথম দিনই প্রেম প্রস্তাব দিতে। ভালোবাসার ক্যামেলিয়াকে সে প্রতিদিন তাই এটা সেটা উপহার দিয়ে যায়। তাদের বিয়ে হয়। তারা বাইরে ঘুরতে যায়। ফেরার পথে ঘটে মারাত্মক দুর্ঘটনা। জ্ঞান আসার পর ক্যামেলিয়া দেখতে পায় তার মুখের এক পাশে ঝলসে গেছে এবং প্রচণ্ড আঘাতে এক পাশে ড্যামেজ হয়েছে। তাই ডাক্তারকে রিকোয়েস্ট করে এই চেহারায় যেন তাকে এলবার্টের সামনে না নিয়ে যাওয়া হয়। তাতে এলবার্ট কষ্ট পাবে। একটা পর্যায়ে তারা দেখতে পায় এলবার্টের চোখে কালো চশমা, হাতে সাদা ছড়ি। এমন দৃশ্যে কান্নায় ভেঙে পড়ে ক্যামেলিয়া। এলবার্ট অনুরোধ করে অন্ধত্বের কারণে তাকে যেন ছেড়ে না যায় ক্যামেলিয়া। অপরদিকে বীভৎস চেহারার ক্যামেলিয়াও চায় এলবার্ট যেন তাকে ছেড়ে না যায়। এভাবেই এগিয়ে যায় গল্প। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, তাসনিয়া ফারিন, আরিফুল ইসলাম ও রেশমি সুজন। একটু আলাদা করে বলতে গেলে তাসনিয়া ছিলেন ক্যামেলিয়া চরিত্র পরিণত অভিনেত্রী। যাকে তুলনা করা যায় ও হেনরি ‘দ্য গিফট অব দ্য মেজাই’র ডেলার সঙ্গে। প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর রেখেছেন এই অভিনেত্রী। অন্যদের তুলনায় আলাদা মেজাজের। নাটকটি লিখেছেন জহির করিম। সুজন পারভেজের প্রযোজনায় নাটকটি খুব শিগগিরই আর টিভির পর্দায় দেখা যাবে বলে নির্মাতা নিশ্চিত করেছেন।





