বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ছিনতাই চেষ্টা সাহসিকতা এবং অসাধারণ প্রজ্ঞার সাথে মোকাবিলা করায় বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন গোলাম শফী ও ক্রুদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার পাইলট, ফার্স্ট অফিসার এবং পাঁচ কেবিন ক্রু প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ক্রুদের ‘হিরো’ হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবন ও সম্পত্তির কোনো ধরনের ক্ষতি ছাড়াই এমন ঘটনা মোকাবিলার দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জীবন এবং উড়োজাহাজের কোনো ধরনের ক্ষতি ছাড়াই এ ঘটনা মোকাবিলা আপনাদের বড় সফলতা।’
তিনি বলেন, বিশ্বে এমন সফলভাবে কোনো উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা মোকাবিলার দৃষ্টান্ত নেই। এ ধরনের ঘটনায় মানুষ হত্যা ও সম্পত্তির ক্ষতি হয়ে থাকে এবং সংকট সমাধানে দীর্ঘ সময় লাগে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আপনারা দৃঢ় সাহস, বুদ্ধিমত্তা এবং প্রজ্ঞা দেখিয়েছেন। আপনাদের বুদ্ধিমত্তা, তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা এবং সাহস ছিল অসাধারণ। এসব ভয়ংকর মুহূর্তে অনেকেই তাদের ধৈর্য ধরে রাখতে পারেন না।’
ভয়ংকর মুহূর্তের সময় তিনি সর্বদা ঘটনার অনুসন্ধান করতে বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিমানের যাত্রী, পাইলট এবং ক্রুদের নিরাপদে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেন তিনি। কেননা সম্পত্তির চেয়ে তিনি মানুষের জীবন নিয়ে সর্বদা বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন।
পাইলট প্রধানমন্ত্রীকে পুরো ঘটনার বিবরণ দেন।
তিনি জানান, দুর্বৃত্তকে কথা বলায় ব্যস্ত রেখে কীভাবে তারা চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ এবং যাত্রীদের জীবন ও উড়োজাহাজ রক্ষা করেন।
এমন ভয়ংকর মুহূর্তে তারা কীভাবে যাত্রীদের শান্ত রাখেন তাও জানান পাইলট।
গোলাম শফী জানান, ভয়ানক ওই মুহূর্তে তারা অভিজ্ঞতা এবং প্রশিক্ষণ প্রয়োগ করেছিলেন।
পাইলট বলেন, দুর্বৃত্ত ককপিটে প্রবেশ করলে সে উড়োজাহাজকে অন্য দেশে নিয়ে যেত, ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হতো।
এ সময় প্রশংসা করায় ক্রু সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
বিমানের ফার্স্ট অফিসার হলেন মুনতাসির মাহবুব, অন্যদিকে পাঁচ কেবিন ক্রু হলেন- শফিকা নাসিম, হোসনে আরা, শরিফা বেগম, শাহেদুজ্জামান ও আব্দুস শুকুর মোজাহিদ।
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সচিব মো. মহিবুল হক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম মোসাদ্দেক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রবিবার পলাশ আহমেদ নামে এক দুর্বৃত্ত খেলা পিস্তল নিয়ে বিমানের (বোয়িং ৭৩৭-৮০০) একটি ফ্লাইট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইগামী বিমানটিতে ১৪৮ জন যাত্রী ছিল।
 
                                 
                                 
                                         
                                         
                                         
                                        





