আকাশপথে অন্য দেশে যাওয়ার আগে নিরাপত্তা অজুহাতে এয়ারপোর্টে পড়তে হয় নানা ধরনের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে। ভিসা, পাসপোর্ট, বোর্ডিং পাস ইত্যাদি যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় সময়ও নষ্ট হয় অনেক। কখনো কখনো এর কারণে অনেক যাত্রী হয়রানিরও শিকার হন। শুধু ভ্রমণকারীই নন, এসব কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকেও কম ঝামেলা পোহাতে হয় না।
তবে এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে নতুন একটি প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে বিশ্বের অনেক বিমানবন্দর। ফেসিয়াল স্ক্যানিং প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে বিশ্বের কিছু নামিদামি এয়ারপোর্ট। এ ব্যবস্থায় নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় এয়ারপোর্টের যাত্রীদের ছবি তোলা হয়। আরেকটি ছবি তোলা হয় বোর্ডিংয়ের গেটে। ফেসিয়াল স্ক্যানিং প্রযুক্তির সহায়তায় ছবি দুটি মিলিয়ে নেওয়া হয়। ছবি মিলে গেলে বোর্ডিংয়ের গেটও স্বয়ংক্রিয়ভাবেই খুলে যায়। এতে সময়ও অনেক কম লাগছে। ফলে নির্ধারিত সময় বিমান উড্ডয়ন করা সম্ভব হচ্ছে।
নতুন এই প্রযুক্তিটি নিয়ে কাজ করা প্রকৌশলী রাউল কুপার এ বিষয়ে বলেছেন, একদিন হয়তো আর পাসপোর্ট স্ক্যান করারও প্রয়োজন পড়বে না।
তিনি জানান, সিঙ্গাপুরের চ্যাঙ্গি এয়ারপোর্টেও ইতোমধ্যে ফেসিয়াল স্ক্যানিং প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডেলটা এয়ারলাইনসও চেক ইন, সিকিউরিটি, বোর্ডিং ও কাস্টমসে ফেসিয়াল স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির কাস্টমস ও বর্ডার প্রটেকশন সংস্থা ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিচয় নিশ্চিত করতে এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে কাজ করা শুরু করেছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ২০টি এয়ারপোর্টে প্রযুক্তিটির ব্যবহার শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
রাউল কুপার আশা প্রকাশ করেন, অচিরেই দুবাই ও মার্কিন বিমানবন্দরগুলো পুরোপুরি বায়োমেট্রিক প্রযুক্তির আওতায় আসবে।