বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় দক্ষতা উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ লক্ষ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, আঞ্চলিক পর্যায়ে বাণিজ্য প্রচলন ও সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। পাশাপাশি উৎপাদনে জ্বালানির ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনারও তাগিদ দিয়েছে এডিবি।
দেশে কাজ করা দাতা সংস্থা ও সরকারের যৌথ ফোরাম লোকাল কনসালটেটিভ গ্রুপের (এলসিজি) ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় এমন পরামর্শ দেন এডিবির ঢাকা আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মনোমোহন প্রকাশ।
গতকাল রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত সভায় এডিবির মিশন প্রধান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের জ্বালানি খাতে বেশ উন্নতি হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিল্পায়ন ও মানুষের উন্নয়নের সঙ্গে বিষয়টির সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আরো বলেন, টেকসই উন্নতি নিশ্চিত করতে হলে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যুতে বিনিয়োগ, উৎপাদন, আমদানি ও নবায়নযোগ্য উৎসের ব্যবহার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিদ্যুতের দামের বিষয়ে প্রগতিশীল সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পাশাপাশি আকর্ষণ করতে হবে ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ।
এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি জানায়, সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. আহমাদ কায়কাউস, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচির আবু হেনা মো. রাহমাতুল মুনিমসহ সরকারি কর্মকর্তারা ছাড়াও এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), ফ্রান্সের উন্নয়ন সংস্থা এএফডি, যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ (ডিএফআইডি), ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি), জার্মানির সহায়তা সংস্থা জিআইজেড, একই দেশের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান কেএফডব্লিউ, জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা), ইউএসএইড, ইউএনডিপি, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এডিবি জানায়, সভাটিতে আলোচকরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পাশাপাশি শিল্প খাতের উন্নয়ন ও শিল্পের ভিত্তি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেন। তা ছাড়া শিল্প, আবাসন ও পরিবহণ খাতে বিদ্যুতের চাহিদা আলাদাভাবে নিরোপন, এ খাতে আঞ্চলিক সহায়তা বাড়ানো, বিশেষ করে পানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।