বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১২৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬৬ হাজার ২৪৪ টাকার অডিট আপত্তি পেয়েছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির সদস্যরা বলেন, এ ভয়াবহ অনিয়ম বন্ধ করা না গেলে গ্রাহকদের মধ্যে প্রভাব পড়বে। এজন্য আপত্তিগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির সুপারিশ করেছে সরকারি হিসাবসম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত কমিটির তৃতীয় বৈঠকে এ অডিট আপত্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়। কমিটির সভাপতি রুস্তম আলী ফরাজীর সভাপতিত্বে বৈঠকে সদস্য আবুল কালাম আজাদ, আবদুস শহীদ, আফছারুল আমীন, শহীদুজ্জামান সরকার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম (টিটু) ও ওয়াসিকা আয়েশা খান অংশ নেন।
বৈঠকে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট ২০১২-১৩-এর অডিট আপত্তির অনুচ্ছেদ ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নিয়ে আলোচনা হয়। আপত্তিগুলো অনধিক ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে আদায় করে কমিটির কাছে প্রমাণ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকের কার্যপত্র সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন বিল পরিশোধ না করা সত্ত্বেও ৪২০ জন গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে অনিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ায় সংস্থার মোট ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৪ টাকার অডিট আপত্তি পাওয়া গেছে। ঠিকাদারের পরিশোধিত বিল থেকে নির্ধারিত হারের চেয়ে কম হারে ভ্যাট কাটায় সরকারের ২৩ কোটি ৮৮ লাখ ৪১ হাজার ২৫২ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া যোগসাজশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ায় সরকারের এক কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৮ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, এই ভয়াবহ অনিয়ম বন্ধ করা না গেলে এর প্রভাব গ্রাহকদের ওপর পড়বে। এ জন্য এসব অডিট আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তি করে সংসদীয় কমিটিতে প্রমাণ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ জন্য সর্বোচ্চ ৩০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অডিট অফিস ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।