এখন বগুড়ার বাঁধা কপির রপ্তানি বাড়ছে। বগুড়ার বাঁধা কপি বিষ মুক্ত হওয়ায় আমদানী কারক দেশে এ সবজি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
অতীতের মতো, বাঁধা কপি চাষে আর কৃষকদের লোকসান গুণতে হয় না। অথবা বাঁধা কপির দাম না পেয়ে গরুকে খাওয়াত হয় না,রাস্তায় ফেলে দিতেও হয় না। বাঁধা কপি এখন বিদেশের প্রায় ৩ থেকে ৪ টি দেশে রফতানি হচ্ছে। এমনটি জানালেন বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক।
তিনি জানান, বগুড়ায় এবার ফুল কপির মত বাঁধা কপিরও বাম্পার ফলন হয়েছে। ৯২০ হেক্টর জমিতে ২৩ হাজার ৯২০ মেট্রিক টন বাঁধা কপি উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ। সেই লক্ষ্যমাত্র অতিক্রম হয়েছে।এখনও কিছু জমিতে বাঁধা কপি চাষ হচ্ছে। কৃষকরা একই জমিতে দুই বার কপি চাষ করে থাকে। হেক্টরে বাঁধা কাপি উৎপাদন ২৭ মেট্রিক টন।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, দেশের মধ্যে বগুড়ায় সবজি উৎপাদন এখ শীর্ষে।বগুড়া সকাল থেকে বিরাট সবজির হাট মহাস্থানে পাইকার কারকদের হাঁক-ডাকে মুখরিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে ফুল শীত কালীন কপি,বাঁধা কপি, শিমে ভরে ওঠে হাট। বিশ্বের বাজরে বগুড়ায় উৎপাদিত সবজির কদর বাড়ছে। শিবগঞ্জে উৎপাদিত বাঁধা কাপি, আলু মান ভালো হওয়ায় রফতানী কারকরা তাদের নির্ধারিত কৃষকদের নিকট থেকে সবজি সংগ্রহ করেন। রপ্তানিযোগ্য ফসল যাতে কীটনাশক ব্যবহার না হয় সে জন্য কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের নানা ভাবে সহায়তা দিয়ে থাকেন। বিদেশে রফতানি যোগ্য ফলস যেন বিষ মুক্ত হয়।
বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, গতবছর শুধু বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলো থেকে ৬শ’ মেট্রিকটন বাঁধাকপি রফতানি হয়েছিল। এবার রোববার পর্যন্ত জেলা থেকে ৬২৩ মেট্রিক টন বাঁধা কপি রপ্তানি হয়েছে।
চট্টগ্রামের মাসওয়া এগ্রো লিমিটেডএর স্বাত্তাধিকারী আরিফ আজাদ প্রিন্স জানান, আগের তুলনায় এখন বাঁধা কপির রপ্তানি বেড়েছে।
ঢাকার কম্বাইডেট এগ্রোর এখন মালয়েশিয়ায় বলে জানান , স্থানীয় শিবগঞ্জ এর প্রতিনিধি সাগর ট্রেডার্স এর মো. সাগর হোসেন । তিনি বলেন তারা কাফেলা হিমাগরের চত্বরে বাঁধা কপি প্যাকেট জাতকরছেন। জানুয়ারি মাসে বাঁধা কপি পরিপুষ্ট হলে আরো রফতানী কারক বাঁধা কপির রফতানি তাকে সংগ্রহর চাহিদা জানাবেন। রফতানি কারকদের সাথে কৃষকদের চুক্তি অনুযায়ী তারা কপি উৎপাদন করে কৃষক। তারা মাঠ থেকেকপি সংগ্রহ করেন। প্রায় ১০/১২ জন রফতানি করে থাকে বাঁধা কপি। গত বছর ২৪০০ মেট্রিকটন বাঁধা কপি শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে রফতানি হয়। এ বছর বাঁধাকপির ভালো হওযায় মানসম্মত কপি হয়েছে। তাই গত বছরের রফতানিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ইন্দোনেসিয়াসহ বিদেশের প্রায় ৪/৫টি দেশে বাঁধা কপি রপ্তানি হয়ে থাকে। ২০১৪ সাল থেকে বগুড়ার বাঁধ কপি স্বল্প পরিসরে রপ্তানি শুরু হয়। এখন রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে।
এ সব বাাঁধা কপির উপরের পাতা ফেলে কাগজে মুড়িয়ে বস্তা করে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করছেন মহিলা ও পুরুষ শ্রমিক। বছর যতই যাচ্ছে বগুড়া থেকে সবজি রফতানি ততো বাড়ছে। কৃষক বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন করে রফতানি কারকের কাছ থেকে ভালো মূল্য পেয়ে খুশি।