সারা দেশ

বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশ বিরান হয়ে যাবে: আইনমন্ত্রী

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ মার্চ, ২০২২

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এড. আনিসুল হক বলেছেন, যখন ১৫তম সংশোধনী করা হলো তখন সংসদ বললো আমরা আর তত্বাবধায়ক সরকার চাই না। তত্বাবধায় সরকার প্রথা সংবিধান থেকে বাদ দেওয়া হলো। সর্বোচ্চ আদালত রায়ে বলে দেয়, সংসদ যদি চায় তাহলে তত্বাবধায়ক সরকার আরও দুই বার রাখা যেতে পারে। কিন্তু তত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ। যখন সংসদে এটা গেলে তখন সংসদ বলল আমরা তত্বাবধায়ক সরকার রাখতে চাই না। উনারা (বিএনপি) আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। তারা সংসদ মানে না, আদালত মানে না, জনগণ মানে না। উনারা যদি কোন দিন আল্লাহ না করুক ক্ষমতায় যায়, তাহলে বাংলাদেশ বিরান হয়ে যাবে। বিএনপি জানে জনগণ ভোট দিয়ে তাদেরকে কোন দিন ক্ষমতায় আনবে না। সেজন্য জন্য তারা পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।

আজ শনিবার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, এতিমের টাকা চুরি করার কারনে বেগম খালেদা জিয়াকে আদালত সাজা দিয়েছে। দুর্নীতির দায়ে নিম্ন আদালত ৫ বছর, এবং এটাকে বাড়িয়ে উচ্চ আদালত ১০ বছর সাজা দিয়েছে। আরেকটি মামলায় ৭ বছরের সাজা দিয়েছে। তিনি বলেন, এই মামলা তাদের তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হয়েছিল। ওই তত্বাবধায়ক সরাকরের প্রধান এবং ওই সময়ের সেনা প্রধান খালেদা জিয়ার নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল। ওনাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার মামলা দিয়েছে, আদালত সাজা দিয়েছে তাহলে আওয়ামী লীগের কি করার আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে আইনী পদ্ধতিতে সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্ত দিয়েছে। তিনি (খালেদা জিয়া) তিন বার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। তারপরও তারা বলেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হবে। এর কি যুক্তিকতা আছে। বিএনপি দুই দিন পর পর আন্দোলনের ডাক দেয় কিন্তু সেই আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেয় না।

উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান, যুবলীগের আহবায়ক, পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান এড. রাসেদুল কাউছার জীবন, কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানি, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, জেলা পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান নাজিম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ মাঠে এক বিশাল প্যান্ডেল তৈরী করা হয়। এই সম্মেলনকে ঘিরে আখাউড়ায় সাজ সাজ রবে পরিণত হয়ে উঠে। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শতশত নেতাকর্মী সমর্থক মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থলে স্বত:স্ফুর্ত ভাবে আসেন। পৌর শহরসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তোরণ, পোস্টার, ব্যানার আর ফেস্টুনে যেন বদলে গেছে চেহারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads