বিএনপির ৩০০ জন যোগ্য প্রার্থী নেই : জয়

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়

ছবি : ইন্টারনেট

রাজনীতি

বিএনপির ৩০০ জন যোগ্য প্রার্থী নেই : জয়

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

বিএনপির ৩০০ জন যোগ্য প্রার্থী নেই যাদের তারা মনোনয়ন দিতে পারে। তারা শেষ যেবার ক্ষমতায় ছিল সেটি ছিল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সহিংস এবং দুর্নীতিপরায়ন সরকার। অবশ্য, তখন তাদের সারা পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার হিসেবে কুখ্যাতিও ছিল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

সোমবার জয় তার ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন।

জয় তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, একদশ সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি ধারাবাহিকভাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।

জয় আরো লিখেন, প্রথমে তারা অভিযোগ করলো গ্রেফতার নিয়ে। তাদের কর্মীরা ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত কয়েক হাজার আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে। শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, আহত করেছে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশুকে। এসব ঘটনার পেছনে চিহ্নিত বেশির ভাগ লোকেরাই এতদিন লুকিয়ে ছিল অথবা দেশের বাইরে পালিয়েছিল। এখন নির্বাচনের আগে তারা গর্ত থেকে বেরিয়ে আসছে, এমনকি নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে। এদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কী করা উচিত? সামনে নির্বাচন বলে তাদের আইনের আওতায় আনা যাবে না? এদের জায়গা তো জেলখানা নয়, এদের জায়গা ফাঁসিকাষ্ঠে।

জয় আরো লিখেন, বিএনপি তাদের মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল নিয়ে অভিযোগ করছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভাইস চেয়ারপারসন দু’জনেই আদালতে সাজাপ্রাপ্ত। তারেক, একজন পলাতক আসামি এবং হত্যা ও সন্ত্রাসের দায়ে অভিযুক্ত, লন্ডনে বসে তার দলের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। একজন পলাতক খুনীর হাতে নির্বাচিত প্রার্থী আর কেমনই বা হতে পারে? তাদের বেশিরভাগ প্রার্থীই হয় অপরাধী না হয় দুর্নীতিগ্রস্ত, ঋণখেলাপি, দুর্নীতি এমনকি তাদের নামে হত্যা মামলাও আছে। যেমন আবুল কালাম মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম, যিনি পিরোজপুর থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন, ব্রিটিশ আদালতের চিহ্নিত ফেরারি আসামি! নির্বাচন কমিশনের কি আসলেই উচিত ছিল এসব চিহ্নিত ফেরারি আসামি, ঋণখেলাপিদের নির্বাচন করতে দেওয়া? বিএনপি মোট আসনের দ্বিগুণ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে, প্রতিটি আসনে কমপক্ষে দুইজনকে মনোনয়ন দিয়েছে তারা। কারণ তারা জানে তাদের বেশিরভাগ প্রার্থীই হয় কোন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি না হয় ঋণখেলাপি এবং এরা নির্বাচনের অযোগ্য। এখন তারা নির্বাচন কমিশনকে কলঙ্কিত করতে এটাকে ব্যবহার করছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads