বাড়ির আঙিনা বা ছাদে স্বপ্ল জায়গায় বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করা যায় বলে এ প্রযুক্তিতে মাছ চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর এ প্রযুক্তিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে দৌলতপুরের অনেক বেকার যুবক নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন।
বায়োফ্লক প্রযুক্তি বা পদ্ধতি হলো-প্রোটিন সমৃদ্ধ জৈবপদার্থ এবং অণুজীব। যা ডায়াটম, ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া, অ্যালগি বা শেওলা, ফেকাল পিলেট বা মাছের মল এবং অমেরুদণ্ডী প্রাণী ইত্যাদির ম্যাক্রো-এগ্রিগেট বা সমন্বয়। আর এ বায়োফ্লক প্রযুক্তিকে মাছ চাষের জন্য একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি বলে মনে করা হয়।
উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামের বায়োফ্লক পদ্ধতির মৎস্য চাষি শিহাব উদ্দিন জানান, স্বল্প জায়গা ও কম খরচে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে তেলাপিয়া মাছ চাষ করে সে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন এবং করোনাকালীন সময়ে এই পদ্ধতির মাছ চাষ অর্থ যোগানের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। বাড়ির ছাদে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে আল্লারদর্গার স্বপন নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খন্দকার সহিদুর রহমান জানান, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় খরচ অনেক কম এবং মাছের উৎপাদন পুকুর বা জলাশয়ে মাছ চাষের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। তাই এ পদ্ধতির মাছ চাষে আগ্রহী করে তুলতে তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছেন মৎস্য বিভাগ।