বাজেটে কর অবকাশ সুবিধা চায় ই-ক্যাব

ছবি : সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি

বাজেটে কর অবকাশ সুবিধা চায় ই-ক্যাব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

অনলাইননির্ভর সব ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে ই-কমার্স হিসেবে বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট-ট্যাক্স অবকাশ সুবিধা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে ই-কমার্স আসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। একই সঙ্গে আয়কর প্রদানের ক্ষেত্রে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ন্যূনতম কর শূন্য দশমিক ১ শতাংশ করারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানায় ই-ক্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা-২০১৮ কার্যকরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত গেজেট দেশের ডিজিটাল রূপান্তরকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেবে। সেই সাথে ই-কমার্সের সার্বিক দিক বিবেচনা করে ই-কমার্স ডেলিভারি সার্ভিস, পেমেন্ট সার্ভিস, ক্রস বর্ডার ই-কমার্স, গ্রামপর্যায়ে ই-কমার্স সেবা পৌঁছে দেওয়া, ভোক্তা অধিকার, পণ্যের মান ও প্রতিযোগিতামূলক দাম নিয়ন্ত্রণ, নেট নিরপেক্ষতা মাথায় রেখে প্রণীত হওয়ায় এই গেজেট দেশের ই-কমার্স খাতকে পরিপূর্ণ সুরক্ষা দেবে বলেও মনে করছে সংগঠনটি।

ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার এ সময় বলেন, ই-কমার্সকে জনপ্রিয় করার স্বার্থে আগামী বাজেটেও কর অবকাশ সুবিধা রাখতে হবে। ক্রেতাদের অনলাইনমুখী করতে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি দোকান থাকা সত্ত্বেও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে, তাহলে তাদেরও এ সুবিধা দিতে হবে।

ডিজিটাল কমার্স নীতিমালাকে দেশীয় উদ্যোক্তাদের ‘সুরক্ষা কবচ’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এটি দেশের ই-কমার্স খাতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল ওয়াহেদ তমাল। অনলাইন পণ্য বিক্রয়ের যে সংজ্ঞা রয়েছে, তা পরিবর্তন করে গেজেটে থাকা সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলেন তিনি।

আয়কর ব্যবস্থা সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, যেসব কোম্পানি শুধু ই-কমার্স কোম্পানি হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করছে এবং লোকসানে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম কর হার মোট আয়ের শূন্য দশমিক ১ শতাংশ এবং যারা পরিচালন মুনাফা করতে পারছে, তাদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম কর হার শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ করা হলে উদ্যোক্তারা এ খাতে আগ্রহী হবেন।

বর্তমানে আইটি এনাবল্ড সার্ভিসেসের (আইটিইএস) যে ব্যাখ্যা রয়েছে, তাতে ‘ই-কমার্স ও অনলাইন শপিং’ অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে তমাল বলেন, বর্তমান আইনে ‘অনলাইন পণ্য বিক্রয়’ একটি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা হলেও অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ের মতো অফিস ভাড়ার ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি সম্পর্কিত কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য এসআরওতে উল্লেখ নেই। আগামী বাজেটে এটি স্পষ্ট করে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে নির্দিষ্ট পরিমাণ থোক বরাদ্দেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এ বরাদ্দের পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকার মতো হতে পারে উল্লেখ করে তমাল বলেন, বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও তাদের ব্যবসা শুরু বা চালু রাখতে সহজে ঋণ দেওয়া যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা, অর্থ সম্পাদক আবদুল হক অনু প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads