বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে বোরকা পরিয়ে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধই এই সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
সোমবার বিকেলে উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আবির আলীর ছেলে আনছার আলী শিকদার (৫৩) ও জোকা গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে শুকুর শেখ (৪৫)।
আহতরা হলেনে ইউনিয়ন তাঁতী লীগের শ্রম উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক জোকা গ্রামের ফরিদ শেখের ছেলে বাবুল শেখ (২৫) এবং আলতিব্রুজবুনিয়া গ্রামের মৃত লতিফ খানের ছেলে বাসিন্দা মিলটন খান (৩৬)।
গুরুতর আহত দৈবজ্ঞহাটি গ্রামের বাবুল শেখকে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত হলেন আলতি বুরুজবাড়ি গ্রামের মৃত লতিফ খানের ছেলে মো. মিল্টন খান।
সোমবার বিকেলে এই ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত তিনজনকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুকুরকে মৃত বলে জানান। আহত আনছার আলীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির শহীদুল ইসলামসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গুরুতর আহত বাবুল শেখ জানান, দৈবজ্ঞহাটি বাজার থেকে তাদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হয়। এ অবস্থায় তাদের কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়। এরমধ্যে দুইজন মারা গেছেন। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। দৈবজ্ঞহাটি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকিরকে হেফাজাতে নেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
