আমাদের দেশে চা এখন সর্বাধিক ব্যবহূত অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয়। আমরা প্রতিদিনই উপভোগ করছি এর প্রশান্তিময় স্বাদ। শুধু আমাদের দেশেই নয়, চা এখন বিশ্বের জয়প্রিয় পানীয়ের মধ্যে অন্যতম। চা এক জাদুকরী বৃক্ষ, চা গাছের কচিপাতার নির্যাসজাত পানীয় দ্বারা সমগ্র বিশ্বকে বিমোহিত করে রেখেছে যুগের পর যুগ। বাংলাদেশের চায়ের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। উৎপাদন, নিজস্ব স্বাদ, বৈচিত্র্য, ব্র্যান্ডিং এবং গুণগত মানে এদেশের চা আজ বহুগুণে এগিয়ে গেছে। চা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত গৌরবময় কৃষিজ ও অর্থকরী ফসল। চা বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। কিছুদিন আগেও আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের চা বলতে সাধারণত ব্ল্যাক টি দিয়ে তৈরি দুধ চা, লিকার চা ও আদা চা হিসেবেই ব্যবহূত হতো। কিন্তু বর্তমানে অনেক ধরনের চা বিক্রি করা হচ্ছে। শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) বর্তমানে অনেক ধরনের চা উদ্ভাবন করেছে। যেসব চা অত্যন্ত আকর্ষণীয় মোড়ক, প্যাকেট করে ও কনটেইনারে দেশের বেশ কিছু সেলস্ সেন্টারে প্রদর্শন ও বিক্রি হচ্ছে। সেলস্ সেন্টারগুলো হচ্ছে- শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়াম, চট্টগ্রামে অবস্থিত চা বোর্ডের চা প্রদর্শন ও বিক্রয় কেন্দ্র, ঢাকার হোটেল র্যাডিসন ও ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত ‘বাংলাদেশ চা’ স্টল। এসব চায়ের দাম প্রকারভেদে প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) উদ্ভাবিত চাগুলো
হচ্ছে- ব্ল্যাক টি, উলং টি, অর্থোডক্স টি, সিলভার টিপস টি, টি গোল্ড (বিটি-২), হোয়াইট টি, হোয়াইট পিউনি টি, ওয়্যারি গ্রিন টি, কার্লি গ্রিন টি, জেসমিন টি, রোজ টি, জিনজার ব্ল্যাক টি, মাসালা টি, লেমন ফ্লেভার
গ্রিন টি, জিরা ফ্লেভার গ্রিন টি, তুলসী টি, আর্ল গ্রে টি, সাতকরা ফ্লেভার টি প্রভৃতি। এছাড়া আরো আট ধরনের চায়ের আচার উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট।
আতাউর রহমান কাজল, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)





