বদলে যাচ্ছে ঢাকা রেঞ্জের ১৩ জেলার ৯৬ থানার চালচিত্র। নব নিযুক্ত ডিআইজি পরিকলিপ্তভাবে থানায় আগত জন সাধারণকে পুলিশী সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে বদলে ফেলছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানাগেছে।
সূত্রজানায়, সম্প্রতি পুলিশ সদর দফতর থেকে বদলি হয়ে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হিসেবে যোগদান করেন ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান। যোগদান করেই তিনি রেঞ্জের ১৩ জেলার ৯৬ থানাতে বিদ্যমান নানা জটিলতা দুর করার উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে রেঞ্জের ৯৬ থানার ওসিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। ঢাকা রেঞ্জের কনফারেন্স রুমে সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা, অপরাধ বিশ্লেষক, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তারা ওসিদের প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষনের উদ্দেশ্য ছিল থানার ওসিদের স্কিল ডেভলপ করা। যাতে ওসিরা থানায় আগত মানুষের সাথে সদাচারণ করেন। থানায় আগতরা যাতে পুলিশের আচরনে সন্তুষ্ট থাকে। কেউ জিডি করতে আসলে তাকে হাসিমুখে চকলেট ও ফুল দিয়ে বরণ করা এবং সমস্যা শুনে জিডি এন্ট্রি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এ ব্যাপারে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরুল আলম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ডিআইজি স্যারের উদ্দেশ্য হচ্ছে-নতুন কিছু করা। জন বান্ধব পুলিশ বাহিনী হিসেবে ঢাকা রেঞ্জের ১৩ জেলাকে গড়ে তোলা। ঢাকা রেঞ্জের মত অন্য জেলাগুলোও একইভাবে কর্মকান্ড শুরু করবে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, সেদিন আর বেশি দুরে নেই- যেদিন মানুষ কাঁদতে কাঁদতে থানায় এসে হাসতে হাসতে বেরিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ভিসেরা রিপোর্ট বছরের পর বছর পরে থাকায় হত্যা মামলা নিস্পত্তি হতে দেরি হত। আর এতে হত্যাকারীরা আইনের ফোকর গলে বেরিয়ে যেত। মামলার বাদী হতাশায় ভুগতো। ডিআইজি মহোদয় যোগদান করার পরই এ সমস্যাটি চিহ্নিত করেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১০৩ টি ভিসেরা রিপোর্ট সংগ্রহ করে স্ব-স্ব থানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
তিনি আরো বলেন, ওসি ছাড়াও এএসপি সার্কেল, অতিরিক্ত এসপি, কোর্ট ইন্সপেক্টর এবং ট্রাফিক ইন্সপেক্টরদের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। কোর্ট ইন্সপেক্টরদের প্রশিক্ষণের ফলে এখান থেকে লব্ধ অভিজ্ঞতা তারা আদালতে মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। কারন আদালতে চার্জগঠনের পর কোর্ট ইন্সপেক্টররা আরো দক্ষতার সঙ্গে মামলা পরিচালনা করে সাক্ষীদের প্রয়োজনের সময় আদালতে হাজির করে আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করা।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ থানার ওসি সাকের মোহাম্মদ জুবায়ের বাংলাদেশের খবরকে বলেন, বর্তমান সরকারের টার্গেট হচ্ছে। জনবান্ধব পুলিশ গড়ে তোলা। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার গুরুত্বারোপ করেছেন এবং সে অনুযায়ী লজিস্টিক সাপোর্টও দিয়ে চলেছেন। ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিব স্যার পুলিশ বাহিনীর গর্ব। তার পোস্টিং যেখানেই থাক না কেন, তিনি সেখানে থেকেই বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করেন। তিনি ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার থাকাকালে সাভারের বেদে পল্লীর জীবন যাত্রার মান বদলে দিয়েছেন। শত শত বেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে হিজড়াসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কাজ করছেন। এই ফাউন্ডেশন ইতিমধ্যে অর্ধশত দরিদ্র মেয়ে বিয়ে দিয়েছে।





