বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, কাল রূপ নিতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে

প্রতীকী ছবি

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, কাল রূপ নিতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ মে, ২০২১

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সুষ্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। সোমবার সকালে এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে রূপ নিতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে।

আবহাওয়াবিদ মো. শহীদুল ইসলাম জানান, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এই অবস্থায় গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে রোববারের (২৩ মে) মধ্যে উপকূলে ফিরে আসার নির্দেশনা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

লঘুচাপটি নিম্নচাপের পর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ইয়াস (yaas)। এটি একটি পার্সিয়ান শব্দ, যার ইংরেজি হচ্ছে জেসমিন। বাংলায় যাকে বলা হয় জুঁই ফুল। এই নামটি দিয়েছে ওমান।

এদিকে আজ রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরো ঘনিভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণিভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার যা দমকা অথবার ঝড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চট্টগ্রাম. কক্সবাজার. মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মুহম্মদ আরিফ হোসেন জানিয়েছেন, উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকার লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। পরবর্তীতে এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছাতে পারে। তাই মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে ২৩ মের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এখনো পড়তে শুরু করেনি। ফলে কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর ও পাবনা জেলাসহ ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ চলমান। আবহাওয়াবিদ একেএম রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, মঙ্গলবার নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে ইতোমধ্যে শনিবার বৈঠক করেছে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, আমরা এক নম্বর সতর্কতা সংকেত উঠিয়েছি। চার নম্বর সংকেত ওঠালে আমাদের দুর্যোগ মোকাবিলায় গঠিত টিমগুলো উপকূলে কাজ শুরু করে দেবে।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads