বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে প্লট পেল ১০ কোম্পানি

বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক

সংগৃহীত ছবি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে প্লট পেল ১০ কোম্পানি

  • এম. রেজাউল করিম
  • প্রকাশিত ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে ১০ কোম্পানিকে প্লট বরাদ্দ করেছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যেই ওই ১০ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে তাদের প্লট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এনডিসি।

রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের খবরকে বিষয়টি নিশ্চিত করে হোসনে আরা বেগম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জায়গা পাওয়া ১০ কোম্পানি হচ্ছে অ্যালিয়ন ইন্টারন্যাশনাল, জেনেক্স, বিজেআইটি সফটওয়্যার, ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স, রবি অজিয়াটা, কেডিএস গ্রুপ, ইন্টারক্লাউড, বিজনেস অটোমেশন, নাজডাক টেকনোলজিস ও জেআর এন্টারপ্রাইজ।

তিনি জানান, হাইটেক পার্কের বি ব্লকের ১০ নম্বর প্লটে ম্যানুফ্যাকচারিং করতে সাত একর জায়গা নিয়েছে এলিয়ন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। একই ব্লকের ১১ নম্বর প্লটে দুই একর জায়গা পেয়েছে বিজনেস অটোমেশন। আর ১২ নম্বর প্লটে দুই একর জায়গায় ডাটা সেন্টার করার জন্য জায়গা পেয়েছে জেআর এন্টারপ্রাইজ। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের জায়গার মাটি পরিষ্কার করে স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এ ছাড়া এ ব্লকের ১ নম্বর প্লটে সফটওয়্যার কোম্পানি ক্যাটাগরিতে দেড় একর জায়গা বরাদ্দ পেয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। যেখানে নিজেদের নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত আইওটি বিষয়ক কাজগুলো করবে।

একই ব্লকে দুই নম্বর প্লটে নাজডাক টেকনোলজিস এবং তিন নম্বর প্লটে জায়গা পেয়েছে বিজেআইটি। উভয় কোম্পানিই দুই একর করে জায়গা পাচ্ছে। এদিকে তিন একর করে জায়গা পাচ্ছে কেডিএস গ্রুপ এবং ইন্টারক্লাউড। চার নম্বর প্লটে কেডিএস ম্যানুফ্যাকচারিং ও পাঁচ নম্বর প্লটে সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করবে ইন্টারক্লাউড। এ ছাড়া ছয় নম্বর প্লটে দুই একর জায়গায় বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) করবে জেনেক্স। আট নম্বর প্লটের সাড়ে তিন একর জায়গায় ম্যানুফ্যাকচারিং করবে ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স।

জানা যায়, পার্কে বরাদ্দ পাওয়া প্লটের চুক্তি চল্লিশ বছরের জন্য। আর বছরে কোম্পানিগুলোকে ভাড়া দিতে হবে প্রতি বর্গমিটার দুই ডলার হিসেবে। তবে কোম্পানিগুলো এখানে কে কত টাকা বিনিয়োগ করবে তা জানা যায়নি। এ ছাড়া বরাদ্দ পাওয়ার পর দুই হতে তিন বছরের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও কেউ চাইলে এখনই স্থাপনা তুলে কাজ শুরু করতে পারবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads