বগুড়ায় পুলিশের হাতে দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

বগুড়ায় পুলিশের হাতে দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৩ এপ্রিল, ২০২০

তুচ্ছ ঘটনায় বগুড়ায় রোববার সন্ধায় পুলিশের দুই সদস্যের বিরুদ্ধে হাতকড়া লাগিয়ে দুই সাংবাদিককে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিকরা হলেন, সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মাজেদুর রহমান ও একাত্তর টেলিভিশনের বগুড়া প্রতিনিধি শাহজাহান আলী। পরে জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে দুই সাংবাদিকের হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়। এবং তাঁরা থানা থেকে চলে যান।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নিরঞ্জন রায়কে প্রত্যাহার বরে বগুড়া পুলিশ লাইনসে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আরেক কর্মকর্তা ও বগুড়া সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে রাত নয়টা পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

রাত সাড়ে আটটায় বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, ‘বিনা অপরাধে কোনো সাধারণ মানুষকেও হাতকড়া লাগানো বেআইনি। দুই সাংবাদিককে হাতকড়া লাগিয়ে থানায় নিয়ে আসার ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে এসপি স্যারের নির্দেশে উপপরিদর্শক নিরঞ্জন রায়কে বগুড়া সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পুলিশের হাতে অপদস্থ ও হয়রানির শিকার সময় টেলিভিশনের বগুড়ার স্টাফ রিপোর্টার মাজেদুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে কর্মহীন তিনটি অসহায় পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিতে তাঁরা দুজনে দুটি মোটরসাইকেলে কালিতলা এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় চেলোপাড়া থেকে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চালিয়ে সাদাপোশাকে সদর থানার উপপরিদর্শক নিরঞ্জন রায় উচ্চ শব্দে সাইরেন বাজিয়ে সদর থানার দিকে যাচ্ছিলেন।

বিনা কারণে এমন শব্দ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করায় তাঁর পরিচয় জানতে চাওয়া হয় থানা মোড়ে দায়িত্বরত সদর থানার পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম মোস্তফার কাছে। এতে এএসআই মোস্তফা ক্ষুব্ধ হন। একপর্যায়ে মুঠোফোনে গোলাম মোস্তফা এসআই নিরঞ্জনকে ডেকে আনেন।

এরপর তাঁরা চড়াও হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে তাঁদের দুজনের হাতে হাতকড়া লাগান। এ সময় নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য দিয়ে তাঁরা টেনেহিঁচড়ে সদর থানায় তোলেন। প্রায় আধা ঘণ্টা পর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান থানায় আসার পর তাঁদের হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এসআই নিরঞ্জন রায় মুঠোফোনে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শহরের দোকানপাট বন্ধে দোকানিদের সতর্ক করার জন্য মোটরসাইকেলে সাইরেন বাজিয়ে চেলোপাড়া থেকে ফিরছিলাম।

এরপর এএসআই গোলাম মোস্তফা ফোনে ঘটনাস্থলে এসে ওই দুই সাংবাদিককে পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা পরিচয় দেননি। পরে থানায় যেতে বললে তাতে রাজি হননি। বাধ্য হয়ে সঙ্গে থাকা কনস্টেবলদের দিয়ে হাতকড়া লাগিয়ে থানায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিই। তাঁরা সাংবাদিক পরিচয় দিলে এমনটা ঘটত না।’

এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান বলেন, ‘সামান্য ভুল–বোঝাবুঝি থেকে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমি থানায় আসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads