ফ্রান্সের দূতাবাস বন্ধে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম হেফাজতের

ফাইল ছবি

মহানগর

ফ্রান্সের দূতাবাস বন্ধে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম হেফাজতের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২ নভেম্বর, ২০২০

ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাস বন্ধে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল থেকে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। এ সময় হেফাজতের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফ্রান্সের বক্তব্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা ও ঘৃণা প্রস্তাব আনারও দাবি জানিয়েছেন।

এর আগে ঘেরাও কর্মসূচিতে সোমবার সকাল ১১টার দিকে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট এলাকায় হেফাজতের শত শত নেতাকর্মী জমায়েত হন। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের জমায়েতে পল্টন, গুলিস্তান, প্রেসক্লাব এলাকায় সকাল থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গত শুক্রবার জুমার পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে ‘সম্মিলিত ইসলামি দলগুলো’ ব্যানারে এক সমাবেশ থেকে ২ নভেম্বর ফ্রান্সের দূতাবাস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর সভাপতি নূর হোসাইন কাসেমী।

বেলা সোয়া ১২টার দিকে মিছিল করে গুলশানে ফ্রান্স দূতাবাসের উদ্দেশ্যে রওনা হন হেফাজতকর্মীরা। পল্টন, নাইটিঙ্গেল মোড়, কাকরাইল হয়ে বেলা পৌনে ১টার দিকে শান্তিনগর মোড়ে এসে তারা পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে যান। পরে সেখানে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী এবং ঢাকা মহানগর সভাপতি নূর হোসাইন কাসেমী সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।

জুনায়েদ বাবুবনগরী বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সাংবাদিক ও এখানে আগত মুসল্লিদের আবেগের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা এখানেই আমাদের কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা করছি।তবে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি এখানে থেমে থাকবে না। আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা ফরাসি দূতাবাসে যাবো এবং সেটি ধ্বংস করবো।

বাবুনগরী আরো বলেন, “ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনকে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে। সরকার আমাদের দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা সরকারের বন্ধু। আমরা চাই এই সরকার আরও আগামী ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকুক। কিন্তু ইসলামের মৌলিক নির্দেশনাগুলো মানতে হবে। হেফাজতের দাবিগুলো মানতে হবে।”

নূর হোসাইন কাসেমী বলেন,এ আগুন নেভাতে হলে সারা বিশ্বের মুসলমানের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে ফ্রান্সকে।

ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাস বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “আন্দোলনের পর আমরা সরকারের কার্যক্রম দেখতে চাই। সরকার ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে শান্তিনগর মোড়ে মোনাজাতে অংশ নেন হেফাজতকর্মীরা।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads