সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের অর্ধেকের বেশি অ্যাকাউন্ট ভুয়া। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে এমন খবর সত্যি নয়। এটি অস্পষ্ট তথ্য বলেও আখ্যায়িত করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১০০ কোটির বেশি বলা হলেও বাস্তবে এর সংখ্যা অনেক কম বলেও জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের এক সহপাঠীর বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মটিতে থাকা অ্যাকাউন্টের অর্ধেক অর্থাৎ ১০০ কোটি অ্যাকাউন্ট ভুয়া।
‘রিয়েলিটি চেক’ নামের এক প্রতিবেদনে অ্যারোন গ্রিনস্প্যান এমনটা দাবি করেছেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকারবার্গের সঙ্গে ২০০২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। ২০০৪ সালে যখন ফেসবুকের যাত্রা শুরু হয় তখন থেকেই এটির ব্যবহারকারী ক্রমেই বাড়তে থাকে।
তিনি অভিযোগ করে দাবি করেন, তিনি ছিলেন ‘আসল ফেসবুকের’ প্রতিষ্ঠাতা। কিন্তু ২০০৯ সালে তার দাবির ওপর একটি অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষ্পত্তি ঘোষণা করে।
গ্রিনস্প্যান বলেন, ফেসবুক তার ভুয়া অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এতে ৫০ শতাংশের বেশিই ভুয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
অন্যদিকে ফেসবুক গ্রিনস্প্যানের এমন কথা অস্বীকার করেছে। তার ফাইন্ডিংসগুলোও অবান্তর বলেছে ফেসবুক।
ডেইলি মেইলের ওই প্রতিবেদনকে উল্লেখ করে ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেছেন, এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন করা মেইলের সত্যিই উচিত হয়নি। সেটি ভুয়া অ্যাকাউন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও তা যাচাই করা উচিত ছিল কর্তৃপক্ষের।
ফেসবুকের যে অনেক ভুয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেটি কখনো অস্বীকার করেনি কর্তৃপক্ষ। বরং তারা এমন অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে সব সময় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
ফেসবুকের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালের শেষ প্রান্তিকে ফেসবুকে মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর ৩৩ দশমিক ৬ শতাংশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় যা তারা কমিয়ে আনার কথাও বলে তখন।
তবে পরের প্রান্তিকে অর্থাৎ ২০১৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে সেটি কমে দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মতে, ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্টের পরিমাণ মোট ব্যবহারকারীর তিন থেকে চার শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। যেটি গ্রিনস্প্যানের করা ৫০ শতাংশের চেয়ে অনেক কম।