নকশার অনুমোদন না থাকায় গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এর ৯ শতাধিক দোকান উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের বিপরীতে অবৈধ মার্কেটের অংশ উচ্ছেদে গেলে বাধার মুখে পড়ে নগর কর্তৃপক্ষ। উচ্ছেদ বন্ধে সড়কে নেমে আসেন হাজার হাজার ব্যবসায়ী।
আজ মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান, তানজিলা কবির ত্রপা এবং এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ওই মার্কেটের ব্লক-এ, ব্লক-বি এবং ব্লক-সিতে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে ব্যবসায়ীরা বাধা দেন।
তবে মার্কেটের অবৈধ দোকান উচ্ছেদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এক পর্যায়ে তারা বুলডোজার লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়েন। অন্যদিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে টিয়ার শেল ছুড়েছে পুলিশ।
এদিকে, উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ীরা গুলিস্তানের বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে দোকান উচ্ছেদ এর প্রতিবাদ করছেন। গুলিস্তান সুন্দরবন মার্কেটসহ আশপাশের এলাকায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা দুই-তিনটি বাসে ভাঙচুর চালায়। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা সেখান থেকে সরে আসেন।
এর আগে সোমবার (৭ ডিসেম্বর) ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন জানিয়েছিলেন, এসব দোকান মার্কেটের নকশাবহির্ভূত স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। লিফট, সিঁড়ি, টয়লেট ইত্যাদির জায়গা দখল করে সেখানে দোকান তৈরি করা হয়েছে। এরূপ ৯১১টি দোকান উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের পর মাইকিং করে দোকানিদের সোমবার (৭ ডিসেম্বর) মধ্যে দোকান ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই মার্কেটের সামনে অবস্থান নিয়েছেন দোকান মালিকরা। তাদের দাবি, স্বল্প সময়ের এই নোটিশে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন তারা। অভিযানের আগে মাল গোছানোর জন্য আরো সময় দেওয়ার দাবি জানান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী ফজলে হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা পজিশন কিনে এখানে ব্যবসা করছি। কিন্তু সিটি করপোরেশন কোনো নোটিশ বা আগাম না জানিয়ে সকালে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে আসে। আমাদের লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে। দোকান ভেঙে ফেললে আমরা যাব কোথায়?
পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমরা সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করার জন্য এসেছি। সরকারি কাজে কেউ বাধা দিলে প্রয়োজনে তাকে আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।