ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রাস্তায় স্ত্রীর লাশ ফেলে পালিয়ে যান স্বামী । শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল দক্ষিণ দিঘিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নামে ওই গৃহবধূর লাশ স্বামীর বাড়ির নিকট ফেলে পালিয়ে যায়। পরে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করার পর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সে উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল দিঘিরপাড় গ্রামের টোকন মাতুব্বরের স্ত্রী এবং মাদারীপুরের রাজৈর উত্তর চাঁনপুট্রি গ্রামের প্রয়াত কুদ্দুস মাতুব্বরের মেয়ে রুমা বেগম (৩৬)।
রুমার পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে টোকন মাতুব্বরের ভাগনে হৃদয় মিয়ার মোবাইল থেকে তাদের জানানো হয়, রুমা আতœহত্যা করেছে এবং লাশ এসে নিয়ে যেতে বলা হয়। এরপর টোকনকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে নিহতের পরিজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ রুমার ভাড়া বাসায় খোজাখুঁজি করে। দুপুরের পর অপরিচিত একটি ফোন থেকে রুমার মামা বাবুলকে জানানো হয় যে রুমার লাশ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আছে। তাকে রাস্তার উপরে রাখা হয়েছে। এরপর ভাঙ্গায় রুমার শশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা।
ঘটনাস্থলে এসে তারা দেখেন একটি ব্রিজের ওপর ষ্টিলের খাটে চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল রুমার মরদেহ। সেখানে লাশের পাশে কেউ ছিল না। পরে তারা রুমার শশুরবাড়িতে যান। তবে বাড়িতেও কাউকে খুঁজে পাননি। এরপর স্বামী কিংবা পরিবারের কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি পুলিশকে জানালে সন্ধ্যায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় আঃ কাদের জানান, দুপুরের দিকে সাইরেন বাঁজিয়ে দক্ষিণ দিঘীরপাড় এলাকার সড়কের ওপর একটি অ্যাম্বুলেন্স এসে কয়েকজন লোক তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্স থেকে লাশটি নামিয়ে রা¯র ওপরে রেখেই পালিয়ে যায়।
রুমার মা ও ছোট বোন জানান, স্বামী ও তিন ছেলে-মেয়ের সঙ্গে ঢাকার বাড্ডায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। এক বছর আগে টোকন ঢাকায় আরেকটি বিয়ে করার পর দাম্পত্য কলহের জেরে কিছুদিন পর তাকে ডিভোর্স দেন। সম্প্রতি সেই মেয়ের সঙ্গে টোকনের যোগাযোগ হয়। এ নিয়ে রুমার সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
রুমার মামা বাবুল হোসেন জানান, তার ভাগ্নির বাম হাত ও পা ভাঙ্গা,মুখে,গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে পরিকল্পিত ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।