প্রিন্টার কেনার আগে

ছবি : ইন্টারনেট

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রিন্টার কেনার আগে

  • সৈয়দ মাসরুর রহমান
  • প্রকাশিত ২৫ নভেম্বর, ২০১৮

নিজের দৈনন্দিন প্রয়োজনে প্রিন্টার বেশ দরকারি একটি অনুষঙ্গ। তবে প্রিন্টার কিনতে গিয়ে অনেকেই বেশ ধাঁধায় পড়ে যান। ঠিক কোন প্রিন্টারটি কেনা উচিত তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় পড়তে হয়। এ ছাড়া প্রয়োজন ও কাজের ধরন বুঝেও প্রিন্টার বাছাই করতে হয়।

যারা প্রিন্টার কিনতে চান, তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজটি আরো সহজ করে দিতে প্রিন্টারের রকমফের তুলে ধরা হলো-

ইঙ্কজেট নাকি লেজার?

এ প্রশ্নটি কমবেশি সবার কাছেই শুনতে হয়। কোন প্রিন্টারটি কেনা উচিত অনেকেই সেটি বুঝতে না পেরে যেকোনো একটি কিনে ফেলেন। দামের দিক থেকে ইঙ্কজেট প্রিন্টার কিছুটা কমের মধ্যে হলেও লেজার প্রিন্টার বেশ ব্যয়বহুল। যদিও বর্তমানে কিছুটা কম দামেও লেজার প্রিন্টার বাজারে পাওয়া যায়। অল্পস্বল্প কাজের জন্য ইঙ্কজেট প্রিন্টারই যথেষ্ট। তবে খুব বেশি প্রিন্ট করতে হবে, প্রয়োজনটা যদি এমন হয়, সেক্ষেত্রে লেজার প্রিন্টার বেছে নেওয়া যুক্তিযুক্ত।

প্রিন্ট কোয়ালিটি

প্রিন্টারে কতটা মানসম্পন্ন প্রিন্ট করা যাবে সে বিষয়টি চিন্তা করলে লেজার প্রিন্টারের বিকল্প নেই। তবে আগেই বলেছি লেজার প্রিন্টার বেশ ব্যয়বহুল। সাধারণ কাজের জন্য ইঙ্কজেট প্রিন্টারই বেছে নেওয়া যেতে পারে।

প্রিন্ট কোয়ালিটি কেমন হবে, সেটি বোঝার জন্য দেখতে হবে প্রিন্টারটির ডিপিআই (ডটস পার ইঞ্চ) কত। ডিপিআই ভ্যালুই বলে দিতে পারবে একটি প্রিন্টার কতটা নিখুঁতভাবে কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি প্রিন্ট করে দিতে পারবে। ৬০০ বাই ৬০০ ডিপিআই থেকে শুরু করে মোটামুটি ৪৮০০ বাই ৪৮০০ ডিপিআই পর্যন্ত ইঙ্কজেট প্রিন্টার রয়েছে।

প্রিন্ট স্পিড

একটি কিংবা দুটি পেজ প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় লাগলেও কিছু মনে হয় না। কিন্তু যখন একসঙ্গে অনেক পেজ প্রিন্ট করার প্রয়োজন হবে, তখনই সামনে চলে আসে প্রিন্টার কত দ্রুত প্রিন্ট করতে পারছে। সাধারণত একটি প্রিন্টার প্রতি মিনিটে কত পেজ (পিপিএম) প্রিন্ট করতে পারছে সে অনুপাতেই প্রিন্টারের গতি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। কী প্রিন্ট করা হচ্ছে, তাতে কোনো ছবি আছে কি না, সাদাকালো নাকি রঙিন- এসব কিছুর ওপর নির্ভর করে প্রিন্টের গতি কেমন হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রিন্টারের বক্সে যে গতি উল্লেখ করা থাকে, তা হলো প্রিন্টারটি প্রতি মিনিটে কতটি সাদাকালো প্রিন্ট করতে পারবে। তবে ইঙ্কজেট প্রিন্টারের ক্ষেত্রে একেক প্রিন্টারের গতি একেক রকম হবে। সেটি হতে পারে ৫ পিপিএম থেকে ২৫ পিপিএম পর্যন্ত। নিজের প্রয়োজন বুঝে সঠিকটি বেছে নিতে হবে।

কানেক্টিভিটি

বর্তমানে প্রায় সব প্রিন্টারেই আছে একাধিক কানেক্টিভিটি অপশন। বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রিন্টারে ইউএসবি ইন্টারফেস বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে সহজেই কোনো ইউএসবি স্টোরেজ ডিভাইস থেকে প্রিন্টের কাজ সেরে নেওয়া যায়।

এ ছাড়া একাধিক ব্যবহারকারী একই প্রিন্টার ব্যবহার করতে চাইলে তাতে ইথারনেট সুবিধা আছে কি না সেটি নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। তাহলে ল্যানের মাধ্যমে সহজেই একাধিক ব্যবহারকারী সেই প্রিন্টারের মাধ্যমে প্রিন্ট করতে পারবেন। এ ছাড়া প্রিন্টারে ওয়াইফাই সুবিধা থাকলে একাধিক কম্পিউটার তো বটেই, প্রিন্ট করা যাবে ওই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকা মোবাইল ডিভাইস থেকেও। এর বাইরে কিছু প্রিন্টার বর্তমানে ক্লাউড প্রিন্টিং সুবিধাও দিয়ে থাকে।

প্রিন্টারের আকার

বিভিন্ন আকার এবং আকৃতির প্রিন্টার বাজারে রয়েছে। ছোট জায়গার মধ্যে স্থাপন করা যাবে এমন প্রিন্টার যেমন আছে, তেমনি বড় প্রিন্টারও আছে। তবে সাধারণ কাজের প্রিন্টারের আকার বেশ ছোটই হয়ে থাকে।

আছে অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টার

প্রিন্টের পাশাপাশি কপি এবং স্ক্যানিংয়ের জন্য বর্তমানে বাজারে আছে অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টার। বাড়তি সুবিধা থাকায় দামও কিছুটা বেশি এ ধরনের মাল্টিটাস্কিং প্রিন্টারের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads