প্রাথমিকের মানোন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের ৯ নির্দেশনা

লোগো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

শিক্ষা

প্রাথমিকের মানোন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের ৯ নির্দেশনা

# প্রতিদিন এক পৃষ্ঠা করে বাংলা ও ইংরেজি পঠন ও লিখনের জন্য বাড়ির কাজ # শিক্ষকদের কাজ নজরদারি করবেন শিক্ষা কর্মকর্তারা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ অক্টোবর, ২০১৮

প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান এবং শিশুর ভাষার দক্ষতা বাড়াতে ৯টি নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১৫ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শনে দেখা গেছে, শিশুরা বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে যথার্থভাবে পড়তে, বলতে ও লিখতে পারে না। অথচ পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চতর শ্রেণিতে ভর্তি হয়। ভাষাজ্ঞানে অপরিণতই থাকছে তারা। মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী  শিক্ষকরা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন এবং মাঠপর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করবেন।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, দৈন্যদশা থেকে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাকে টেনে তুলতে বাধ্য হয়ে মন্ত্রণালয় এমন পদক্ষেপ নিল। তাদের মতে, এই ৯ নির্দেশনা যদি মাঠপর্যায়ে ঠিকঠাকভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে অবশ্যই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- ভাষাজ্ঞান বাড়ানোর জন্য নিয়মিত পাঠাভ্যাস অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন বাংলা ও ইংরেজি বই থেকে একটি প্যারা/পৃষ্ঠা পঠনের জন্য বাড়ির (হোমওয়ার্ক) কাজ দিতে হবে। প্রতিদিন এক পৃষ্ঠা হাতের লেখা বাড়ি থেকে লিখে আনার জন্য হোমওয়ার্ক কিংবা বাড়ির কাজ দিতে হবে। ক্লাসে প্রথমেই সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষক সব শিক্ষার্থীকে আবশ্যিকভাবে পঠন করাবেন। শিক্ষকরা নিজেরা শিশুদের সঙ্গে উচ্চারণ করে পাঠদান করাবেন। এতে শিক্ষার্থীদের উচ্চারণ জড়তা দূর হবে এবং প্রমিত উচ্চারণশৈলী সৃষ্টি হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চারণ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মনোবল বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। বুক কর্নার ও এসআরএমের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিন প্রতি শিক্ষার্থীকে ন্যূনতম একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি শব্দ পড়া, বলা ও লেখা শেখাতে হবে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ভাষার ভান্ডার বাড়বে এবং এতে শিশুরা বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে ও লিখতে পারবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করাসহ সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ইন্সট্রাক্টর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় উপপরিচালকরা তাদের পরিদর্শন প্রতিবেদনে শিক্ষকদের বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে শিশুদের পাঠাভ্যাস-সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো প্রতিপালন করবেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads