সমাজকল্যাণবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. শরীফ আহমেদ বলেছেন, সরকার প্রবীণ নাগরিকদের পাশাপাশি প্রবীণ গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণে সম্মানী ভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে। তিনি বলেন, প্রবীণ নাগরিকদের মেধা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে হবে।
গতকাল বুধবার ‘বাংলাদেশের প্রবীণ নাগরিক ও সাংবাদিক সমাজের বর্তমান চিত্র : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ) ও প্রবীণ বন্ধু ফাউন্ডেশন যৌথভাবে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) সেমিনার হলে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
দৈনিক বাংলাদেশের খবরের সম্পাদক ও বিজেআরএফ সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং বিজেআরএফ সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের পরিচালনায় সেমিনারে প্রবীণ নাগরিক ও সাংবাদিক সমাজের বর্তমান চিত্র নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রবীণ বন্ধু ফাউন্ডেশেনের চেয়ারম্যান ডা. মহসীন কবির লিমন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ, প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এএসএম আতিকুর রহমান, পিআইবি’র ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মীর মো. নজরুল ইসলাম, প্রবীণ সাংবাদিক নেতা ও ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, অর্থনৈতিক বিষয়ক প্রবীণ সাংবাদিক নেতা মনোয়ার হোসেন, ডিইউজে সাংবাদিক পরিবার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আল মামুন, মাইটিভির বার্তাপ্রধান খান মোহাম্মদ সালেক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরীফ আহমেদ আলোচ্য বিষয়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সাংবাদিকদের পেনশন পাওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। আমি সাংবাদিকদের পেনশন দেওয়ার পক্ষে।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে এবং সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় প্রবীণদের কল্যাণে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।
সচিব জুয়েনা আজিজ বলেন, প্রবীণ জনগোষ্ঠীর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। পিতামাতা ভরণ পোষণ আইন যথাযথ কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সচিব বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সাংবাদিকদের অভিজ্ঞতা বাড়ে। বয়সের সঙ্গে তাদের লেখনী আরো তীক্ষ হয়ে ওঠে। তাই সাংবাদিকদের অবসর গ্রহণের বিষয়টি বয়স দিয়ে বেঁধে দেওয়া যাবে না।
অধ্যাপক ড. এএসএম আতিকুর রহমান প্রবীণ নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ২০৫০ সালে শিশুদের চেয়ে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তাই প্রবীণদের জন্য এখনই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
সেমিনারের শুরুতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।





