প্রধানমন্ত্রীর দরজা সবসময় খোলা : ওবায়দুল কাদের

শুক্তবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের দোগাছির সার্ভিস এরিয়া ১ এলাকায় ভিজিটরস সেন্টার উদ্বোধন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

ছবি : মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর দরজা সবসময় খোলা : ওবায়দুল কাদের

  • মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২ নভেম্বর, ২০১৮

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপের বিষয়ে আমরা আশাবাদী। সংলাপ ৮ নভেম্বর পর্যন্ত হবে। অপজিশন কিভাবে রিয়েক্ট করে সেটা তাদের ব্যাপার। আমি তো মনে করিনা এখানে ব্যর্থতার কিছু আছে। শুরুটা ভালো হয়েছে। তাদের ৭দফার ৩টি বিষয়ে আমাদের কোন বাধা, আপত্তি থাকবে না। 

শুক্তবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের দোগাছির সার্ভিস এরিয়া ১ এলাকায় ভিজিটরস সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন এই বিষয়ে আমাদের কোন আপত্তি নেই। দীর্ঘদিনের লং গ্যাপ, ডিস্টেন্স এ লং ডিস্টেন্স এটাকে রাতারাতি ওভারনাইট ম্যাজিক্যাল ট্রান্সফরমেশন সম্ভব না, ক্লোজ করাও সম্ভব না। কিন্তু গতকাল কিছু বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। বিএনপি নেতা কর্মীদের যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মামলা আছে, ক্রিমিনাল অফেন্স ছাড়া শুধু রাজনৈতিক কারনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়, তাহলে তাদের আমার কাছে তালিকা পাঠাতে বলেছি। এই তালিকা অনুযায়ী সুষ্ঠ তদন্ত করা হবে।

যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, সংলাপ ৮ নভেম্বর পর্যন্ত হবে। আলোচনা হয়। কেউ কেউ ২-৩ বার বক্তব্য রেখেছেন। ভালো আলোচনা হয়েছে। তারা চাইলে আবারো আলোচনা হতে পারে। দূরত্বটা বহু দিনের। টানা পোড়ণের ক্ষেত্রে ২১ আগষ্ট, ১৫ আগষ্ট আছেই। সেনসিটিভ কিছু ইস্যু। ১৫ আগষ্টের প্রতি আমাদের আবিষ্ট আছে। ২১ আগষ্ট বিএনপি আমলে নৃশংস ঘটনা ঘটে, বেগম আইভি রহমানসহ ২২টি প্রাণ ঝড়ে গেছে। তারপরও আমরা কম্পোমাইজ করেছি। পলিটিক্স শুড বি কম্পোমাইজ এ্যাট যাস্ট। আমরা জানি ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট যেই বর্বরোচিত জাতির পিতাকে হত্যাকান্ড। সেখানে হত্যাকারীকে যারা পুরষ্কৃত করেছেন এবং যারা তাদের পঞ্চম সংশোধনী করে হত্যাকারীদের বিচার হবে না, এইরকম বিষয় অন্তভুক্ত করেছিল সংবিধানে। তারপরও আমরা পলিটিক্স করি, একটি ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকা আবশ্যক।

মন্ত্রী আরো বলেন, বেগম জিয়ার সন্তান কোকো মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা ছুটে গিয়েছিলেন কোকোর মাকে শান্তনা দিতে। কিন্তু সেখানে মূল ফটক, ভিতরের দরজা বন্ধ। প্রধানমন্ত্রী কন্যা অপমানজনক ভাবে ফিরে আসলেন। বেগক জিয়া দেখা করলেন না। শুধু দেখা করাই নয়, দরজাই বন্ধ করে দিলেন। সেখান থেকে সম্পর্কের তৃক্ততা কোথায় গিয়ে পৌঁছাতে পারে এবং আমাদের আচ্ছন্নতা কোথায় গিয়ে পৌঁছাতে পারে। ১৫,২১ আগষ্ট এসব তৃক্ত, বিরক্ত বিষয় ঘটে গেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম একজন প্রধানমন্ত্রী অপজিশনের সঙ্গে সংলাপ। এটি বাংলাদেশে নজিরবিহীন ঘটনা। ঐক্যফ্রন্টের সংলাপে সাড়া দেওয়া। আমরা দলের লোকজন এই বিষয়টি ভাবতে পারিনি। আমাদের মধ্যে ভিন্নমত ছিলো বিএনপির ব্যাপারে, থাকাটাও খুব স্বাভাবিক। তারপরও আমরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। আমাদের সবার আস্তা আছে নেত্রীর ওপর। তিনি যা করবেন জাতীয় স্বার্থে করবেন। তিনি নিজের ওপর কি অপমান, তার জীবনের ওপর এটেম্প এগুলো ভুলে গিয়ে জাতীয় স্বার্থকে, গণতন্ত্রের ধারাকে অব্যাহত রাখার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তারা যদি চান ছোট পরিসরে আবারো আলোচনা হতে পারে। এ ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্তের ওপর শেখ হাসিনার ছেড়ে দিয়েছেন, তারা যদি চান তাহলে আমাদের জানাতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী বলছেন আমার দরজা খোলা, তারা যদি আবার আসতে চান।

এসময় মন্ত্রীর সাথে সেতু মন্ত্রনালয়ের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাস , বিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদুর রহমান সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads