বিজ্ঞান প্রযুক্তি প্রতিবেদক
দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রোবট অলিম্পিয়াড। এ বছরের ডিসেম্বরে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের জন্য দল নির্বাচনের লক্ষ্যে এ অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হয়েছিল।
২৬ অক্টোবর দিনব্যাপী আয়োজিত অলিম্পিয়াড জুড়েই ছিল রোবটের অংশগ্রহণ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের শুভেচ্ছা জানানোর দায়িত্বও ছিল একটি রোবটের। এ ছাড়া অতিথিদের মাথার ওপর চক্কর মেরে অনুষ্ঠানের ভিডিও ধারণের কাজটিও করেছে একটি ড্রোন রোবট।
অলিম্পিয়াডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। নতুন নতুন ইনোভেশন নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের বুদ্ধিমান রোবট তৈরি করতে হবে যেন রোবট মানুষের কাজকে আরো সহজ করে দিতে পারে। মানুষের মানবিক গুণগুলো দিয়ে রোবটকে পরিচালনা করতে হবে। কিন্তু মানুষকে কখনই মানবিক গুণ হারিয়ে রোবট হলে চলবে না।’
ডাটা সফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সারা বিশ্বে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে। তোমাদের হাত ধরে শিল্প বিপ্লবের যুদ্ধকে জয় করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মানুষের স্থান রোবট কোনো দিনই দখল করতে পারবে না। কেননা রোবট তো মানুষই তৈরি করে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন ড. লাফিফা জামাল ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হয় আয়োজনের মূল পর্ব। এতে সারা দেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। ৭ থেকে ১৮ বছরের শিশু-কিশোরদেরও অংশগ্রহণ ছিল অলিম্পিয়াডে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিশন চ্যালেঞ্জ, ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি, রোবট ইন মুভি, রোবটিক বুদ্ধি ও কুইজ প্রতিযোগিতা ইত্যাদি বিভাগে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়।
অলিম্পিয়াডে প্রথম তিন বিজয়ীর জন্য ছিল গোল্ড, সিলভার ও ব্রোঞ্জ মেডেল। এর পাশাপাশি ছিল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের সুযোগ ও অন্যান্য আর্থিক বা সমমানের পুরস্কার। রোবট অলিম্পিয়াডের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)।