প্রতিবন্ধী শিশুসন্তানকে বিষ খাইয়ে নিজেও আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার এক মা। ঠিক কী কারণে ওই মা এমন ঘটনা ঘটান তা এখনো নিশ্চিত না হলেও ধারণা করা হচ্ছে- সাংসারিক মনোমালিন্যই এর কারণ। আজ সোমবার উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামে এমনটা ঘটে।
আত্মহত্যাকারী শান্তি রানী মণ্ডল (৩২) গ্রামের দিনমজুর উত্তম মণ্ডলের স্ত্রী। তাদের প্রতিবন্ধী ছোট মেয়ের নাম তমালিকা মণ্ডল (৬)। এলাকাবাসীর দাবি, দরিদ্র এই পরিবারটির স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য থাকার কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে উত্তম মণ্ডলের বড় মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তন্দ্রা মণ্ডল জানায়, তার বোন তমালিকা মণ্ডল জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। বিভিন্ন সময়ে সে বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। এক পর্যায়ে তার মা সোমবার সকালে প্রতিবন্ধী বোনের আচরণ সহ্য করতে না পেরে খাবারের সঙ্গে বিষ খাওয়ান। তমালিকা যখন বিষের যন্ত্রণায় ছটফট করছিল তখন তার মাও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা স্থানীয় ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে তারা দুজনই মারা গেছে। বেদনাদায়ক এ ঘটনার সময় উত্তম মণ্ডল বাড়িতে ছিলেন না। ভোরে তিনি মাছের ঘেরে কাজ করতে যান বলেও জানায় তন্দ্রা।
বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আলিম জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তবে প্রকৃত রহস্য জানতে পারেননি। আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ জানান, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং লাশ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠান। ঘটনার প্রকৃত কারণ বের করতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।