কক্সবাজার শহরের বিতর্কিত শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম এবং প্রতারণার অভিযোগের দায়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় এ অভিযান পরিচালনা করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াঙ্কা ও সেলিম শেখ। এ সময় তারা শেভরণে গিয়ে দেখেন, রোগীর পরীক্ষা করানো রিপোর্টের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত থাকে খালি প্যাড আর সিল। সেখানে প্রয়োজনীয় কিছু লিখেই মনগড়াভাবে সরবরাহ করা হয়। আর প্রতিটি রিপোর্টে ডাক্তার এবং ল্যাব টেকনোলজিস্টদের স্বাক্ষর করার নিয়ম থাকলেও সেখানে আগে থেকেই তৈরি করা থাকে সব কিছু। এ ছাড়া ক্লিনিকের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে ১ বছরের ওপরে। তবুও নবায়ন করার কোনো তাগিদ নেই কর্তৃপক্ষের। এ ছাড়া কোন রোগী কী পরীক্ষা করাল বা কাকে কখন রিপোর্ট সরবরাহ করা হচ্ছে তার কোনো রেজিস্টার নেই। এ ছাড়া ল্যাবের সমস্ত যন্ত্রপাতিও অনেক পুরনো। সেখানে কর্মরত সব কর্মচারীই আছেন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। কারো নেই প্রাতিষ্ঠানিক সনদ। সদর হাসপাতালের টেকনিশিয়ান মোহাম্মদ ইলিয়াছই এখানে সব কিছুর নিয়ামক। শহরের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির ইশারায় চলে এ প্রতিষ্ঠান। এর আগে অনেকবার ভুল রিপোর্ট এবং প্রতারণার আশ্রয় নিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। তবে সর্বশেষ মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলমের মায়ের একটি পরীক্ষা করাতে গিয়ে সেখানে রোগীর কাছ থেকে ইউরিন না নিয়েই রিপোর্ট দেওয়ার ঘটনায় তোড়পাড় সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তড়িৎ শেভরনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।